অপেক্ষায় ধরা দিলে : সঞ্জয় আচার্য

ভুল বোঝেছিলে?
তোমার মুখের উপর বলেছিলাম কবিতা আমার মানসপুত্র
আমি রঙিন ডায়েরিটা বন্ধ করেছিলাম তোমার একদম ভাল লাগেনি বলে
তুমি শেষ বিকেলের ছায়ার মত আমার পাশে এসে বসেছিলে
সেদিন ক’ফোটা বৃষ্টি পড়েছিলে মনে নেই
তবে এখনো সাপুড়ে বাতাসে শুনি তোমার আনন্দ ধ্বনি
মাঘে মেঘে দেখা…
এখন দূরের পথ হাঁটতে শিখেছি, একা একা তোমার দেখানো পথে
নিরালায় চলে যাই, ফিরে আসি কুশিয়ারা তটে
কোনো একদিন তুমিও ডুব দিয়েছিলে এই ঘোলাজলে
অনায়াসে খোয়া গেছে সেই সব দিন
মিছে সব কলরব, মিছে সব বৈভব
সব মিছে সব মিছে সব সব সব মিছে, ভাড়াটে অন্তরে
বারান্দার এক কোণে নামপরিচয়হীন উদ্ভিদ বাড়ছে মেঘ-রোদ্দুরে
জানালার কাঁচে শীত জমে, ঘরের মেঝেতে শীত
দেওয়ালে দেওয়ালে ছোপ ছোপ শীতরেখা পূর্ণিমা রাতে খোলস ছাড়িয়ে নেয়
শরীর থেকে, ঘুণে ধরা
হাড় -গোড় , গাঁটে গাঁটে ব্যথা-স্বপনদিনের জলছাপ
এককণা নেই তবু রাস্তার মোড়ে ভিখারিটা
হাত পেতে অনুগ্রহ চায়
সে কি জানে ‘ভিক্ষা চাহিলে মানুষ নাহি ফিরায়’?
আমি অমানুষ নাকি আমিও মানুষ
জটিল ঘূর্ণাবর্তে অবিশ্বাসী মন পার করে দুঃসহ সময়
মন নিয়ে মাঝে মাঝে ঝামেলা পোহাতে হয়
পৃথিবীর সব বিশালতা ভর করলেও
সে মনমরা থাকে, স্বভাবে মলিন
রাস্তার পাশে লোক পাথর ভাঙে, হাতুড়ে পেটায়
মন ভাঙে মনের খেলায়
বিশ্বাসের পর্দা ছিঁড়ে হিমবাত নেবে আসে খোলা জানালায়।