ইঞ্জিনিয়ার মীর্জা শামীম হাসানের তিনটি কবিতা।

আমিত্ব তোমার মাঝে

ইঞ্জিনিয়ার মীর্জা শামীম হাসান
সূর্যের আলো থেকে বেশ কিছুটা দূরে যদি থাকো,
স্পর্শের বাইরে চারদেয়ালে শব্দের অনেক পরে।
হয়তো কোন ইন্দ্রিয়র স্পর্শ তোমার উপর পরেনি
জড়োসরো হয়ে একই চাদরে মুরিয়ে বৃষ্টির ঝড়ে,
এলোপাথারি বৃস্টির পরে একাšতরে থাকা
আবরণে প্রতিটা লাবণ্য চুপিয়ে থাকাটা সরেনি।
তোমার কেশে পাঁচ আঙ্গুলীদিয়ে সরায়নি কেউ
ঠোঁটে কপালে বুকে এখনো আসেনি অন্য সত্বা
আমি ঠিক তোমাকেই বলছি,
তুমি জয়ী –
তুমি সুরের মনোমুদ্ধকর গান গাও বাজবে বাঁশি ॥
আবার হয়তো;
মাঝেমাঝে ভোমরার মতো সংক্রমিক এসে
মিেিশমিশে একহয়ে চোখে রেখেছে চোখ,
খানিকটা পড়ে শূণ্যকরে দিয়েছে সম¯ত স্বাধ,
ধীরেধেির অবাধ্যতীরে ভেঙ্গেছে বাধ,
লালচে ছোপছোপ দাগে দেখাযায়না গলা,
ভাসমাননে পানি ভরিয়ে ডুবিয়েছে ভেলা।
সেদিনই শেষ হয়েছে লীলার খথামালা।
আমি তোমাকে বলি-
আবার দোর খোল চলে এসো তীরে,
রামধনাতে রংমাখিয়ে আঁকো তোমার পৃথিবী,
কবি নই আমি তবু পাশেদেবো ঠাঁই ॥

 

 

 
তুমি হবে স্পর্শের বাইরে
ইঞ্জিনিয়ার মীর্জা শামীম হাসান
যে পথ দিয়ে নুপূর পড়ে আসা যাওয়া ছিলো
সে পথে নুপূরের পরিবর্তে বুলেটের শব্দ বাজে।
যে পথে হাসিহাসি মুখের পায়ের ছাপ ছিলো
সে একই পথে এখন হাহাকার খেলা করে।
তোমার শরীরের উপড় কিছু ভাড়ী শরীর প্রতিনিয়ত পিষ্ঠে
নারী পেলেই শুরু করে ওরা প্রতিযোগিতা,
তোমার শরীরের মাপে তারা শকুনের মতো মাতলামি করে,
ওরা ঠোঁট কামরিয়ে ছিঁড়ে নাকি স্বাদ নেয়,
তুমি মেয়ে,
তুমি কি বিশ্বাস করো তোমার শেষ টিকানা করো শরীরের পিষ্ঠ
তুমি কি প্রতিনিয়ত হারমানো অন্ধকারের হাতছানিতে
তুমি কি তোমার গর্ভ শুধু আরও একজনের সূচনা করে যাবে
তুমি শুধু শুধু শুসে নেবে সব টুকু গাড় বিষের বোঝা?

একবার বলো না,
কাউকে শুনিয়ে না তবে ভেতরে থেকে বলো না।
না , না , না , না ॥
আগামী কালকে যে নতুন সকাল পাবে সে সকালে,
উন্মাদনা থেকে অনেক দূরে এসে শেষ বিকেলে
চিৎকার করে বলবে তুমি জয়ী।।
তুমি লিখবে কবিতা গাইবে গান
বাজাবে বাঁশি মেরাবে প্রাণ।
তুমি কাল থেকে হবে তোমার পৃথিবীর সৃস্টিরানী।

প্রতিজ্ঞা
ইঞ্জিনিয়ার মীর্জা শামীম হাসান
তাহলে আমাকে তোমার ভেতরটা ধার দাও
এবারে তুলিটা মেখে মেশাবো ভাবের বাকেবাকে
যেখানে স্বাধ অবস্বাদ বৃথা বা যুক্তির বাধ।
যদিও নিজের কোন সূত্র তোমার জানা নেই
তাই নিয়মের মূলেমূলে তোমার নিয়তি,
কপালে ছুঁয়ে বুঝে নাও কতো বড়ো মনের স্বাধ।
যদি মেটাতে চাও পাড়বে
ইন্দ্রিয় দিয়ে বোঝাতে চাও পাড়বে।
আশা যাওয়ার শ্রেণী কক্ষে একজন
তুমি সে আমি ।
একটি প্রতিজ্ঞার ফলাফলে আজকের তুমি প্রতিমা
আমার প্রতিদিনের তুলিতে একটি পথ ব্য¯ত থাকি
সেদিকে যেতে দেবো না যে প্রতি¯্রূতি অযথা।
কিছু রংছটা দিয়ে অতীতে একেছি কিছু আছে বাকি
¯্রােতের বেগে অনেক দূরে ফিরে দেখি অযথা।

লোনা পানিতে দাঁড়িয়ে ঝড়ে ফেলো সব লোনা জল
তখন পাশে এসে দাঁড়িও,
সন্ধ্যার পরে চিলেকোঠায় তারার নিতে দাঁড়িয়ে
পাশে এসে মাথা ঠেকে আবুতি করো,
তবুও হারিয়ে ছুটে যায় খেয়া অপরিচিত হাওয়ায়।
একাকিত্বের আষ্টেপিষ্টে লতার মতো ঝড়িয়ে নাও
দীর্ঘ সময় পার করে দাও বাহিরটাকে আঁচলে ঢেকে।
তুমি পারবে বলে আজকে আচলটা পাঠিয়ে দিলাম
লাল আচল তোমার জন্যে।
কালো আঁধারের অপেক্ষা আর সাদা স্পর্শ।
তোমার তাজা মনট আমাকে ধার দাও
আমি জীবšত বিবেক আকবো
তোমার প্রাণে তোমার কণ্ঠে কাল থেকে সংগ্রাম হবে।
দু’হাতে তোর গাল জড়িয়ে তোমার সাথে কথা বলবো,
বাহিরের কথা কস্টেও কথা বীপরিত বাধার কথা
তাদের শোনাবো তোমার সপন্দন পাঠিয়ে।
তোমাকে ভালোবাসবো জড়তা থেকে বেড়িয়ে
তোমাকে চুমু দেবো মিথ্যা থেকে বেড়িয়ে
আমাকে তোমার ভেতরটা ধার দাও।।