তথ্য সংগ্রহ ছাড়া সরকারের সুশাসন সম্ভব হবেনা …ড. একে আব্দুল মোমেন
রাস্ট্রদুত ও জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী প্রতিনিধি ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, তথ্য সংগ্রহ করা অনেক বড় গুরুত্বপূর্ন কাজ। তথ্য সংগ্রহ ছাড়া সরকারের সুশাসন সম্ভব হবেনা। জাতীয় তথ্য জোগান দেয়া সম্ভব হয় কিন্ত অনেক সময় স্থানীয় তথ্য জোগান দেয়া যায়না। পিজিআই সেন্টার হলো জনগণের সাধারণ তথ্য জোগান দেয়ার কেন্দ্র। এটি একটি সমাজ সেবামূলক সংস্থা। দেশের মানুষকে সৎ, শান্তিপূর্ন ও ঝামেলামুক্ত জীবন যাপনের সহযোগিতায় এটি অনন্য ভুমিকা রাখবে। এদেশে কোন কিছু করতে গেলে অনেক তদবির করতে হয়। তদবির ছাড়া কোন জিনিষ হাসিল করা প্রায় অসম্ভব হয়ে গেছে। আশা করি এই সংস্থার মাধমে তদবির ব্যবসা অনেকাংশে কমে যাবে। পিপলস জেনারেল ইনফরমেশন (পিজিআই) সেন্টার-এর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
শনিবার সিলেট সিটি কর্পোরেশন মিলনায়তনে পিজিআই সেন্টার-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।
পিজিআই সেন্টার-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আনিসুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও আবৃত্তিকার উপস্থাপক সৈয়দ সাইমুম আনজুম ইভানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট সালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসুদ আহমদ চৌধুরী, জাতীয় পার্টি নেতা এমএ মতিন চৌধুরী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট-এর আইনজীবি সাঈদ রাস মাসউদ। হাফিজ আব্দুল্লাহ আল মোক্তারের পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেট-এর সহকারী উপপরিচালক শাহ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিজিআই সেন্টার-এর সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম জুয়েল। অনুষ্ঠানে পিজিআই সেন্টার-এর প্রধানের পরিচিতি পাঠ করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব সিরাজী।
সভাপতির বক্তব্যে আনিসুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমাদের সমাজে বিশৃঙ্খলা ও অপ্রত্যাশিত বিষয়াদি নিয়ন্ত্রনের লক্ষে জনসচেতনতা তৈরী করে সরকারকে বিশৃঙ্খল সুশৃংখল রাষ্ট্র পরিচালনায় সহযোগীতা করাই পিজিআই সেন্টার-এর মূল লক্ষ্য। কোন দেশের সরকারের একার পক্ষে সুষ্ঠু সুন্দর রাষ্ট্র্র পরিচালনা করা সম্ভব নয়। এজন্য দেশের নাগরিকদের শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় সহযোগীতা করতে হবে। সেই কাজটি করতে সাহায্য করবে পিজিআই সেন্টার।