রবি ফাস্ট বোলার হান্ট: সিলেট থেকে ইয়েস কার্ড পেলেন ১২ পুরুষ ও ১ নারী

Robi-Fast-Ballar-Hunt-Sylheডেস্ক রিপোর্টঃ সারা দেশ থেকে প্রতিভাবান ফাস্ট বোলার খুঁজে বের করতে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) যৌথ উদ্যোগে শুরু হয়েছে ফাস্ট বোলার হান্ট ক্যাম্পেইন। রবিবার সিলেটে এ ক্যাম্পেইন শুরু হয়।
সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে সকাল থেকে শুরু ক্যাম্পেইনে ৩৯২ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। সকাল থেকেই দীর্ঘ লাইন ধরে ছেলে ও মেয়েরা অংশ নেন এ ক্যাম্পেইনে। দিনভর যাছাই বাছাই শেষে ১২ জন ছেলে ও ১ জন মেয়েকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়।
সকালে ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন বিসিবি’র পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী ও সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহিউদ্দিন সেলিম। এসময় উপস্থিত ছিলেন রবি’র জেনারেল ম্যানেজার (মিডিয়া কমিউনিকেশন) নবনিতা চৌধুরী। বিসিবি’র উচ্চমানসম্পন্ন কোচ ও গেম ডেভেলপমেন্ট টেকনিক্যাল স্টাফরা ফাস্ট বোলার হান্ট ক্যাম্পেইনের টেকনিক্যাল বিষয়গুলো যাচাই করেন।
আয়োজকরা জানান, সিলেটে ক্যাম্পেইনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক ছিলো মেয়ে প্রতিযোগীদের অংশগ্রহণ। ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণকারী প্রথম প্রতিযোগী ছিলেন একজন মেয়ে।
আয়োজকরা জানান, দেশের ১৬টি স্থানে এই ফাস্ট বোলার হান্ট প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে নির্বাচিত প্রতিযোগীদের বাছাই করে ঢাকায় হাই পারফরম্যান্স ক্যাম্পে নিয়ে আসা হবে।
অংশগ্রহণকারীদের শারিরীক সক্ষমতা ও দক্ষতার (ওজন, উচ্চতা, ফ্লেক্সিবিলিটি টেস্ট, নী টু ওয়াল) উপর ভিত্তি করে প্রতিযোগিতার বাছাই প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে। চুড়ান্ত পর্বে সেরা ১২ জনকে (১০জন ছেলে এবং ২ জন মেয়ে) বিজয়ী হিসাবে ঘোষণা করা হবে।
চলতি বছরের প্রথমদিন থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইনের নিবন্ধন প্রক্রিয়া ১৪ জানুয়ারি শেষ হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ছেলে-মেয়ে মিলিয়ে মোট ৩৯ হাজার ৪১৮ জন ফাস্ট বোলার নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেন।
আয়োজনের ব্যাপারে নবনিতা চৌধুরী বলেন, একটি দলের জয় পরাজয় নির্ধারণ করে দিতে পারে ফাস্ট বোলাররা। যে কারণে আমরা চাই তৃণমূল থেকে ফাস্ট বোলাররা উঠে আসুক। টাইগাররা জয়ের ধারায় অব্যাহত থাকুক।
বিসিবি’র পরিচালক (অর্থ) ও সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী বলেন, ক্রিকেটের মাধ্যমে সারা দেশের মানুষ এক জায়গায় চলে এসেছে। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ১৬টি জায়গা থেকে বেরিয়ে আসা ফাস্ট বোলারদের পরিচর্যা করবে বিসিবি। এখান থেকেই বেরিয়ে আসবে আগামীর মুস্তাফিজ ও মাশরাফিরা।