নাগরি বর্ণে ছিলটি ভাষা’র স্বীকৃতির দাবীতে মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসকাবে সংবাদ সম্মেলন

NAGRI.PIC.মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার: নাগরি বর্ণে ছিলটি ভাষা’র স্বীকৃতির দাবীতে গত ২৭ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসকাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে নাগরি বর্ণে ছিলটি ভাষা স্বীকৃতি পরিষদ মৌলভীবাজার জেলা শাখা। নাগরি বর্ণে ছিলটি ভাষা স্বীকৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবি, ইতিহাসবিদ ড. মুমিনুল হক উপস্থিত থেকে এ দাবী প্রসঙ্গে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন তিনি জানান- প্রাচীনকাল থেকে সিলেট জনপদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ভাষা স্বাতন্ত্র বৈশিষ্ট বর্ণে ও সমৃদ্ধশীল। সিলেট অঞ্চলের অধিবাসীরা ছিলটি ভাষায় কথা বলেন। ছিলটি ভাষা সিলেটবাসীর মাতৃভাষা। সিলেটবাসীরা জন্মের পর এই ভাষা শুনেন ও এই ভাষাতেই প্রথম কথা বলেন। কামরুপী ভাষার অপভ্রংশ থেকে এই ভাষা অর্থাৎ ছিলটি ভাষার উদ্ভব। কামরুপী ভাষা চর্যাপদে লিখিত বাংলা ভাষা, আসামী ভাষা ও ছিলটি ভাষার জননী রুপে স্বীকৃত। পৃথিবীতে প্রায় ৮ হাজার ভাষার মধ্যে ৩ হাজার ভাষার নিজস্ব বর্ণমালা আছে। এর মধ্যে ছিলটি ভাষা একটি- যার নিজস্ব বর্ণমালা রয়েছে। ফ্রান্সের ভাষা জাদুঘরে বাংলাদেশের ২টি ভাষার নাম রয়েছে- যার একটি বাংলা ভাষা ও অপরটি ছিলটি ভাষা। তাছাড়া ড. এস.এম গোলাম কাদির ও জেমস উইলিয়ামসহ অনেক দেশী বিদেশী গবেষক নাগরি লিপির উপর পিএইচডি ডিগ্রী করেছেন। কম্পিউটারে লেখার জন্য নাগরি ফন্ট আবিস্কৃত হয়েছে। ২০০৫ সালের মার্চে ইউনিকোড কনসোর্টিয়ামের সহায়তায় নাগরি লিপি ইউনিকোডের (ISO 15924, sylo-316) ISO স্বীকৃতি লাভ করেছে। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, পৃষ্ঠপোষকতা ও পরিচর্চার অভাব, ছিলটি ভাষার প্রতি বিমাতা সুলভ আচরন এবং জন-সচেতনতার অভাবে নাগরি বর্ণে ছিলটি ভাষায় লিখিত পুঁিথ, পান্ডুলিপি ও প্রেসে মুদ্রিত গ্রন্থ আজ বিলুপ্ত প্রায়। তাই, নাগরি বর্ণে ছিলটি ভাষা রক্ষার্থে বাংলা ভাষা ও লিপির পাশাপাশি ছিলটি আঞ্চলিক ভাষার নাগরি লিপিকে সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের প্রজ্ঞাপন জারী অথবা জাতীয় সংসদে বিল পাশ করে স্বীকৃতি প্রদানসহ জাতীয় শিক্ষা কারিকুলামে অন্তর্ভূক্তি, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়-মাদ্রাসায় ঐচ্ছিক বিষয় হিসাবে অন্তর্ভূক্তির দাবী জানাচ্ছে নাগরি বর্ণে ছিলটি ভাষা স্বীকৃতি পরিষদ। সংবাদ সম্মেলনে ান্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- নাগরি বর্ণে ছিলটি ভাষা স্বীকৃতি পরিষদ, মৌলভীবাজার জেলার সম্মনয়কারী মোঃ শহিদুল ইসলাম, জেলা শাখার সভাপতি মোঃ আনোয়ার আলী, উপদেষ্টা সাংবাদিক শ. ই. সরকার জবলু, সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক মশাহিদ আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মনজুরুল আলম, মৌলভীবাজার কলেজ শাখা সম্মনয়কারী আবুল কালাম আজাদ, মোঃ মেরাজ চৌধুরী, মোঃ বদরুল ইসলাম রুমান, শেখ মোঃ তারেকুল ইসলাম, ঝলক রঞ্জন দাশ, আব্দুল ওয়াহিদ প্রমুখ।