অবশেষে বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেল গোলাপগঞ্জের স্কুল ছাত্রী মিলি

Mily_Golapgonjনোমান মাহফুজ,গোলাপগঞ্জ: অবশেষে বাল্য বিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেল গোলাপগঞ্জ উপজেলার মীরগঞ্জ দ্বীপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের এবারের এসএসসি পরিক্ষার্থী মিলি রাণী দেব (১৫)।মিলি রাণী দেব গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর ইউপির শেখপুর গ্রামের বিমান দেবের মেয়ে।বিবাহের প্রস্তুতি চলছিল।একই উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউপির রায়গড় গ্রামের নিখিল দেবের ছেলে প্রবাসী মিতুদেবের (২৫) সাথে। ধর্মীয় নিয়মানুসারে আজ বৃহস্পতিবার ছিল তাদের মঙ্গলাচরণ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিলির এক আত্নীয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম খান বরাবরে আবেদন করেন স্থানীয় সাংবাদিক নোমান মাহফুজ। তার এই আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম বুধবার রাতে মিলি রাণীর পিত্রালয়ে গিয়ে বিবাহ বন্ধের নির্দেষ আরোপ করেন। এর আগে মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতেও বিষয়টি বন্ধের তাগিদ দেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অসি একে এম ফজলুলহক শিবলী।
জানা যায়, মিলি, রাণী দেব গোলাপগঞ্জ উপজেলার মীরগঞ্জ দ্বীপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরিক্ষার্থী।বর্তমানে তার পরিক্ষা চলছে। মিলিরাণী দেবের ২ ভাই ৫ বোন। ভাই বোনের মধ্যে সে চতুর্থ। মিলি রাণী দেবের হত দরিদ্র পরিবারের ইচ্ছা ছিল অল্প বয়সে হলেও ধনবান ছেলের কাছে মেয়ে বিয়ে দিয়ে স্বাবলম্বী হবেন।কিন্তু জে এস সি পরিক্ষার মার্কসিট অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১৮-১১-২০০০। সে মতে তার বয়স প্রায় ১৫ বছর। অবশেষে সেই চেষ্টা পুরণ হলো না। বিয়ে বন্ধ করতে হয়েছে।
এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে মীরগঞ্জ দ্বী পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বকুল মিয়া ও ম্যানেজিংকমিটির সভাপতি মাষ্টার লুৎফুর রহমান বলেন, মার্কশিট অনুযায়ী তার বয়স ১৫বছর। তাই এ ব্যাপারে আমরা তার পরিবারের সাথে আলাপ করেছি।বর্তমানে সে এসএসসি পরিক্ষা দিচ্ছে।স্থানীয় ইউপি সদস্য বদরুল হকের সাথে কথা বললে জানান, এ ব্যাপারে আমি তাদেরকে সচেতন করেছি। তারা খুব সচেতন মানুষ।ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মশিউর রহমান জানান,এ ব্যাপারে আমরা রাতে মিলির বাড়িতে গিয়েছি এবং বিয়ে বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি।আশা করি তারা আমাদের কথায় সাড়া দিবে।