বিশ্বনাথে সালমান হত্যা মামলা ডিবিতে স্থানান্তর

salmanডেস্ক রিপোর্টঃ বিশ্বনাথ থানায় দায়েরকৃত মাদ্রাসা ছাত্র সালমান হত্যা মামলা ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার সিলেটের পুলিশ সুপারের প্রদান করা নির্দেশে মামলাটি ডিবিতে মামলাটি স্থানান্তর করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এরপূর্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়। এতে অধিকতর ও সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে হত্যাকান্ডে জড়িত প্রকৃত অপরাধীরা শাস্তি পাবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন ভূক্তভোগীরা।

অন্যদিকে মামলার প্রধান সন্দেহভাজন অভিযুক্ত মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শিব্বির আহমদের ছোট ভাই মহসিন উদ্দিন নাঈম আদালত থেকে জামিন পেয়ে লাপাত্তা রয়েছেন বলে জনশ্রæতি রয়েছে। অথচ সালমানের লাশ উদ্ধারের দিন তাঁদের (শিব্বির-নাঈম) বাসা থেকেই নিহতের জুতা ও আরও কিছুদিন পর রক্তমাখা সোফাসেট উদ্ধার করে ছিল থানা পুলিশ।

সালমান হত্যার প্রায় এক মাস ফেরিয়ে গেলেও থানা পুলিশ হত্যার আসল রহস্য উদঘাটন করতে পারিনি। তবে মাদ্রাসার শিক্ষক কর্তৃক ছাত্র বলাৎকারের প্রতিবাদ করায় ও মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের প্রবাসী ভাইয়ের একাউন্ট থেকে আতœসাৎ করার উদ্দেশ্যে ৩ লাখ উত্তোলন করার জের ধরে হত্যাকান্ড সংগঠিত হতে পারে ধারণা করে থানা পুলিশ তদন্ত কাজ চালিয়ে গেছে।

মামলাটি ডিবিতে স্থানান্তর হওয়ার সত্যতা স্বীকার করেছেন বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) আবদুল হাই এবং মামলার বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা ও থানার ওসি (তদন্ত) মাসুদুর রহমান।

প্রসঙ্গত, সালমান আহমদ সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার পূর্বগাঁও গ্রামের বাকপ্রতিবন্দি ছোটন মিয়া ও কুতুবি বেগম দম্পত্তির সন্তান। দীর্ঘদিন ধরে সে মাদ্রাসার বোডিং-এ থেকে লেখাপড়া করে আসছিল। ৩০ ডিসেম্বর সকালে উপজেলার নতুন বাজার এলাকার তফজ্জুল আলী কমপ্লেক্স ও মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের বাসার মধ্যবর্তী সড়কে সালমান আহমদের লাশ পাওয়া যায়। পরদিন ৩১ ডিসেম্বর সালমানের মা বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২০ (তাং ৩১/১২/২০১৫ইং)।

মামলার লিখিত অভিযোগে বাদি উল্লেখ করেছেন যে, তিনি ধারণা করছেন মরহুম মাওলানা আশরাফ আলীর পুত্র ও মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শিব্বির আহমদের ছোট ভাই মহসিন উদ্দিন নাঈম অজ্ঞাতনামা দৃ®কৃতকারীদের যোগসাজশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তাঁর (বাদি) পুত্র সালমানকে হত্যা করা হয়েছে।