ধরাধরপুরে যুক্তরাজ্য প্রবাসীর মামলা বাণিজ্য নিয়ে তোলপাড়

Meher Ahmed Jamalডেস্ক রিপোর্ট : দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেতলী ইউনিয়নের ধরাধরপুর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী মেহের আহমদ জামালের দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মামলার পর দিন লুকোচুরি করে স্ব পরিবারে বিদেশ চলে যাওয়ার ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে প্রতিহিংসা বসত এলাকার নিরীহ লোকজনকে মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে এলাকার সচেতন মহল বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। ইতোমধ্যে তারা কয়েকদফা সভা-সমাবেশ ও মতবিনিময় করে প্রবাসীর এই ভ’মিকার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার রাতে এলাকার সর্বস্থরের মানুষের উপস্থিতিতে স্থানীয় ফুরকানীয়া মাদ্রাসায় এক মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়।
এলাকার প্রবীনমুব্বী মকবুল মিয়ার সভাপতিত্তে মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, ধরাধরপুর গ্রামে কোন গুলির ঘটনা ঘটেনি। জামালের দায়ের করা মামলাটি সম্পূর্ন মিথ্যা ও সাজানো ঘটনা। যা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এ মামলাটিকে প্রতিহিংসা বসত সাজানো হয়েছে। তারা বলে ২০১১ সালের দিকে ধরাধরপুর গ্রামের হোসেন মিনহাজের সাথে ৪৫ শতক ভ’মি নিয়ে জামালের সাথে বিরোধ দেখা দিলে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী তা সমাধানের উদ্যোগ নেন। তিনি তৎকালীন উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মরহুম ডাঃ আব্দুস শুকুরকে সভাপতি করে সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম লাকি মিয়া, সাবেক চেয়াম্যান হাজী মইনুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান হাজী রইছ আলীসহ কয়েকজন নেত্রীস্থানীয় ব্যক্তিবর্গকে তা সামাধানের দায়িত্বদেন। তারা সাংসদের নির্দেশ মোতাবেক তদন্ত করে লিখিত ভাবে হোসেন মিনহাজের পক্ষে রায় দেন। সেই হিংসা নিয়ে আজো জামাল এলাকার লোকজনকে নানা ভাবে হয়রানী ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে কাজ করছে।
সবশেষে ২০ ডিসেম্বর একটি সাজানো ঘটনা নিয়ে জামাল এলাকার নিরীহ লোকজনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। তবে পুলিশ প্রশাসন ঘটনাটি তদন্ত না করেই মামলা রেকর্ড করে ধরাধরপুরের শত বছরের ঐতিহ্যকে কুলষিত করার চেষ্টা করছেন। বক্তারা বলেন, মামলা রেকর্ডের পরদিন অবশেষে জামাল স্বপরিবারে গ্রাম ছেড়ে লন্ডনে পালিয়ে যান। অথচ এলাকাবাসী পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবী করে আসছে, মামলার তদন্তকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত জামাল যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সেই ব্যাপারে প্রদক্ষেপ গ্রহণ করতে। কিন্তু প্রশাসন তা করেন নি। এলাকাবাসী এমন অনৈতিক কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন তেতলি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য কালাম উদ্দিন রাসেল, নজরুল ইসলাম ফুল মিয়া, সুরুক মিয়া চৌধুরী, সাবেক মেম্বার হাজী জয়নাল আহমদ, হাজী আব্দুস সালাম মর্তু, হাজী সুনাওর আলী, হাজী আবুল বশর, রাফিকুল রশর, পূর্ব ধরাধরপুর জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লী হুমায়ুন আহমদ, লায়েক আহমদ, মানিক মিয়া, হাবীব মিয়া, ওলিউর খা, আফজল হোসেন মুন্না, ইমরুল হোসেন প্রমূখ। সভায় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহর নিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষাণা ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৭ সদস্যের একটি আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।