গোলাপগঞ্জ পৌর মেয়র পাপলুকে চ্যালেঞ্জ দিলেন পল্লী বিদ্যুৎ পরিচালক

22222222গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি: এবার গোলাপগঞ্জ পৌর মেয়র জাকারিয়া আহমদ পাপলুকে চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর গোলাপগঞ্জ অঞ্চলের পরিচালক আব্দুল আহাদ। আজ মঙ্গলবার নিজ ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসের মাধমে তিনি এ চ্যালেঞ্জ জানান। স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো। গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জাকারিয়া আহমদ পাপলুর কতিপয় শুভাকাংখি সাম্প্রতিক সময়ে আমার ফেসবুকের স্ট্যাটাস পড়ে বিরুপ মন্তব্য করছেন। আবার কেহ বিনয়ের সুরে বলছেন আমি অহেতুক গায়ে পড়ে পাপলুর সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি করছি। যারা মন্তব্য করছেন তারা হয়তো জানেন না, গোলাপগঞ্জ বাজার বণিক সমিতির নির্বাচনে পাপলু মাইক বাজিয়ে গলা ফাটিয়ে বলেছিলেন হলুদ সাংবাদিক আব্দুল আহাদকে ভোট না দিয়ে তার মনোননিত প্রার্থীকে ভোট দিতে। সেদিন গোলাপগঞ্জ বাজারের সম্মানীত ব্যবসায়ীরা তার কথায় কান না দিয়ে ভোট বিপ্লব ঘটিয়েছিল। আমি পেয়েছিলাম ৯১৯ ভোট আর পাপলু মনোনীত প্রার্থী পেয়েছিলেন ১২৪ ভোট। সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নির্বাচনে শুধু তিনি একা আমার বিরোধীতা করেননি, তার লালিত দুষ্ট চক্র সর্বশক্তি চালিয়েছিলো আমার বিরুদ্ধে। সেখানেও পাপলুর সুচনীয় পরাজয় হয়েছে। আমি ৯৬৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হই আর পাপলুর মনোনীত প্রার্থী মাত্র ২৫৮ ভোট পান। সারাদিন ভোট কেন্দ্রে পাপলু অবস্থান করে ভোটারদেরকে বলেছিলেন আমাকে ভোট না দেওয়ার জন্য। দীর্ঘদিন তিনি মানুষকে নিয়ে অনেক নাটক করেছেন, এখন তিনি নিজে নাটকের এমন এক পর্যায়ে চলে গেছেন আর বলছেন ‘চাচা আপনি জান বাচাঁ’। সম্প্রতি গোলাপগঞ্জে চৌমুহনীতে জনসভা করে তিনি মাইক বাজিয়ে গলা ফাটিয়ে বলেছেন আমি পৌর এলাকার দাড়ীপাতন পূর্ব পাড়া প্রকাশিত গির্দ্দ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করার লক্ষে ৬০ হাজার টাকা নিয়েছি। আমি তাকে চ্যালেঞ্জ দিলাম, এর প্রমাণ দিতে পারলে সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালনা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করবো। আর প্রমাণ না দিতে পারলে তিনি কি করবেন এর জবাব জানতে চাই। গোলাপগঞ্জ উপজেলার ১১ ইউনিয়নের চেয়ে বিদ্যুৎ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে এখনও গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকা অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ১৪ বছরে মেয়র পাপলু কি করলেন?
সম্প্রতি পল্লী বিদ্যুতের পক্ষ থেকে আমরা মাস্টার প্ল্যানের আওতায় এক জরিপ পরিচালনা করলে দেখা যায় পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ৬৬৪ পরিবারে বিদ্যুৎ নেই। মেয়র পাপলুর বসত ঘর থেকে মাত্র ২০ থেকে ২৫ ফুট দূরের মরহুম কালা মিয়ার বাড়ীর (পাহাড় নামে পরিচিত) ১২টি পরিবার এখনো বিদ্যুৎ পায়নি। এছাড়া ২ থেকে ৩শ গজ দূরের জনপদ রণকেলী নয়াগ্রাম ও বাদ রণকেলীর মধ্যবর্তী প্রায় ৫০টি পরিবার এখনও বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। মেয়রের নিজের ৭নং ওয়ার্ডের ঘোড়ামারা এলাকায় ৩০টি পরিবারে এখনো কেন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়নি তা জানার অধিকার কি জনগণের নেই। রণকেলী উত্তরের তবারক বাবুর্চীর বাড়ীর ৫টি পরিবার, আব্দুল লতিফ সরকারের বাড়ীর পাশের ১৫টি পরিবার, বনবাড়ী ঈদগাহের পার্শ্ববর্তী ফটুক মিয়া ও সিহাব উদ্দিনের বাড়ী সহ ৭টি পরিবার, চান্দের দোকানের আশপাশের ১৫টি পরিবার এখনো বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। নিজ ওয়ার্ডের প্রায় ১৫০ পরিবার এখনো বিদ্যুৎ সুবিধা পায়নি এক্ষেত্রে আজকের নৌকা মার্কার ভোট প্রার্থী পাপলু দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর মেয়র পদে আসীন থেকে কি করলেন। আমি খুব একটা বেশী করতে পারিনি তবে মেয়রের ঘর থেকে ২০ -২৫ ফুট দুরের পরিবার গুলোর বিদ্যুৎ প্রাপ্তির বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত করেছি। তাদের ট্রান্সফরমার ১৫ কেভি থেকে ২৫ কেভিতে উন্নীত করে লাইন টানার কাজ শেষ হয়েছে। যেকোন সময়ে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবে ঔসব পরিবার গুলো। ঘোড়ামারা ও নয়গ্রামের টেন্ডার হয়েছে আশা করি খুব শীঘ্রই খুটি স্থাপন করা সম্ভব হবে। বাদ বাকি পরিবার গুলো আগামী মার্চ এপ্রিলের মধ্যেই টেন্ডারের আওতায় আসবে বলে আশাবাদী।মাত্র ১বছরের এরচেয়ে বেশী কিছু করতে পারিনি। তবে মনে এটুকু সন্তুষ্টি যে মেয়র পাপলু ১৪ বছরে যা করতে পারেননি আমি সবার দোয়ায় ১ বছরে তা করতে পেরেছি। এ সফলতার অংশীদার গোলাপগঞ্জের সর্বস্থরের মানুষ। গির্দ্দের যে বাড়ীর কথা তিনি বলেছেন সে বাড়ীতে কেন তিনি ভোট চাইতে যান না। জনগন বিচারের মালিক, সব সময় বিচার করা যায়না। এখন বিচারের সময় এসেছে জনগন পাপলুর মিথ্যাচার আর ফটকাবাজির বিচার করবে সবার মতো আমিও এই প্রত্যাশা করি।