ফয়েজ ও নাচনকে ধরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছাত্রদলের নতুন কমিটির
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেট ছাত্রদলের নতুন কমিটির নেতারা বিদ্রোহী শীর্ষ নেতাদেরকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে অভিযোগ ঊঠেছে। বিদ্রোহীদের আন্দোলন থামানোর জন্য নতুন কমিটির একের পর এক কৌশল যখন ব্যার্থ যাচ্ছে তখন এই কৌশল হাতে নিয়েছেন বলে সংগঠন সুত্রে জানা যায়। তবে এই অভিযোগ মিথ্যা বলে নতুন কমিটির নেতারা জানান। গত ১৭ সেপ্টেম্বর এক যুগপর সিলেট ছাত্রদলের কমিটি ঘোষনার পর থেকে সিলেট ছাত্রদলের বড় একটি অংশ বিদ্রোহ ঘোষনা করে। তারা রাজপথ দখল করে নিয়ে নতুন কমিটি নেতাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। তাদের ভয়ে দেড় মাসেও রাজপথে নতুন কমিটির সবাই এক সাথে মিলে মিছিল করতে পারেননি এখনও । এ অবস্থায় নতুন কমিটির নেতারা রাজপথে নামার জন্য একের পর এক কৌশল অবলম্বন করলেও তা যেন ব্যার্থ যাচ্ছে তাদের কৌশল। সর্বশেষে তারা পুলিশ প্রশাসন ও সরকারী দলীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের আশ্রয় নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নতুন কমিটির নেতারা মনে করছেন বিদ্রোহী শীর্ষ নেতাদেরকে যদি কোন ভাবে পুলিশ দিয়ে গ্রেফ্তার করানো যায় তাহলে বিদ্রোহীদের আন্দোলনে ভাটা পড়ে যাবে । আর এরজন্য বিশেষ করে ৬ শীর্ষ নেতার মধ্যে রেজাউল করিম নাচন ও আহমদ চৌধুরী ফয়েজকে গ্রেফ্তার করানোর জন্য টার্গেট হাতে নিয়েছেন বলে জানা যায়। কেননা তারা মনে করছেন তৃনমুল ছাত্রদলের নেতারা নাচন ও ফয়েজের কারণে আন্দোলন করতে সাহস পাচ্ছে। তাই তাদেরকে পুলিশ দিয়ে গ্রেফ্তার করালে আন্দোলন দুর্বল হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন। এরজন্য তারা নগরীরর বিভিন্ন থানায় পুলিশের সাথে যোগাযোগ করছেন। এবং ধরিয়ে আনার জন্য পুলিশ কে ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকার দেওয়া হবে বলে ঘোষনা করেছেন। আর তাদেরকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য একটি কলেজের অধ্যাপক জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাঈদ আহমদের ভাই ও আম্বরখানা পরিবহন শ্রমিক ও মহানগর বিএনপি নেতা একজন সহযোগিতা করছেন বলে একটি সুত্রে জানা যায়। তাছাড়া আন্দোলন কে দুর্বল করার জন্য বিদ্রোহী সক্রিয় ছাত্রদল কর্মীদেরকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠে । সর্বশেষ বিদ্রোহী শীর্ষ নেতা রেজাউল করিম নাচন গ্রুপের সুবিদবাজার ইউনিটের নাবিন ও রুবেল সহ ১৬ ছাত্রদল কর্মীকে তারা ধরিয়ে দিয়েছেন বলে এক বিদ্রোহী নেতা অভিযোগ করেন। এদিকে বিদ্রোহী মাঠ পর্যায়ের নেতা উমেদুর রহমান উমেদ বলেন, ‘ শুধু নাচন ও ফয়েজ ভাই নয়, যে কোন শীর্ষ নেতাদেরকে গ্রেফ্তার করা হলে আমরা তীব্র থেকে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলব। আমরা এই পকেট কমিটি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাব না। ‘