সিলেটে এবার মসজিদের নামে প্রতারণার নতুন কৌশল

গত বৃহস্পতিবার ‘বিশিষ্ট সাংবাদিক(?), সমাজসেবক(?) মুজিবুর রহমান ডালিম’ প্রবাসীদের অর্থায়নে নির্মিতব্য মা খাদিজা জামে মসজিদ এর উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন।
গত বৃহস্পতিবার ‘বিশিষ্ট সাংবাদিক(?), সমাজসেবক(?) মুজিবুর রহমান ডালিম’ প্রবাসীদের অর্থায়নে নির্মিতব্য মা খাদিজা জামে মসজিদ এর উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন।

ছবি-দুই
খাদিমপাড়া ইউনিয়নে গত দুই থেকে আড়াই মাস আগে বহর বাইপাস সড়ক সংলগ্ন একটি ভূমিতে মা মনি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন তিনি। পরবর্তীতে ওই সাইনবোর্ডটি খুলে মা খাদিজা জামে মসজিদের সাইনবোর্ড লাগিয়ে প্রায় ৬৫ একর (ছয় হাজার পাঁচশত শতক) ভূমি দখলে রাখেন।

dalim-terroristজনমনের প্রশ্ন
যে ভূমিতে তিনি মসজিদ নির্মাণ করছেন ওই ভূমির প্রকৃত মালিক কে? মাটি ভরাটের জন্য যে জমি বা যেখান থেকে মাটি তুলছেন ওই ভূমিরই বা প্রকৃত মালিক কে? কৃষি জমি ও সরকারি খাল থেকে পরিবেশ আইনের তোয়াক্কা না করে জোরপূর্বক মাটি কেটে এই দখলকৃত ভূমিতে মাটি ভরাট করছেন। এছাড়া অবৈধভাবে দখলকৃত জমিতে হাওরের মাঝখানে মসজিদ নির্মাণের নামে প্রবাসীদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা এনে প্রতারনার মাধ্যমে আতœসাৎ করা হচ্ছে, এর দায় কার?
প্রশাসনের নির্লিপ্ততা….
শাহপারণ থানা ও সুরমা পুলিশ ফাঁড়ির মধ্যখানে বিভিন্ন মামলায় পলাতক আসামি সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এসব অপকর্ম করলেও পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করছে।
উল্লেখ্য তার মালিকানাধীন মা মণি কিন্ডার গার্টেন যে ভবনে পরিচালনা করছেন সেখানে দুই বছরের ভাড়া না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। খাদিম বাইপাসে যে ভূমিতে শামসুদ্দিন নামে জৈনক ব্যক্তির নাম ব্যবহার করে এসব অপকর্ম চালাচ্ছেন তিনি।
সিলেট সদর ভূমি অফিস, বহর তফসিল অফিস ও উপশহর সহকারী সেটেলম্যন্ট অফিস এবং জোনাল সেটেলম্যন্ট অফিসে তল্লাশী চালিয়ে মুজিবুর রহমান ডালিম বা শামসুদ্দিনের নামে কোন ভূমির মালিকানা পাওয়া পাওয়া যায়নি।
এলাকাবাসীর অভিমত
বাইপাস সংলগ্ন কল্লগ্রামবাসীর অভিমত, জৈন্তাপুর থানার বাসিন্দা মুজিবুর রহমান ডালিম নিজ এলাকায় তার মায়ের নামে মসজিদ নির্মাণ না করে হাওরের মাঝখানে মা খাদিজা (রা.) জামে মসজিদের নাম ব্যবহার করে ভূমি দখল ও চাদাবাজি করছে। এলাকার যুব সমাজকে অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে তার অপকর্মের সহযোগী হিসেবে ব্যবহার করছে। জনস্বার্থে এলকার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।