বিয়ানীবাজারের চারখাইতে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৩৫
ডেস্ক রিপোর্টঃ বিয়ানীবাজারের চারখাইতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন। আশংকাজনক অবস্থায় আহতদের বিয়ানীবাজার ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের পর থেকে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চারখাইয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চারখাই ইউনিয়নের দক্ষিণ মান্দার দরপড়ি গ্রাম ও চক্রবানী গ্রামের মধ্যস্থলে চক্রবাণী গোপাট নামের বিলটি দীর্ঘদিন থেকে দুইগ্রামের লোকজন নিজেদের দাবি করছেন। শনিবার চক্রবানী গ্রামের মানুষ বিল থেকে মাছ ধরতে গেলে দক্ষিণ দরপড়ি গ্রামের লোকজন এসে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় চক্রবানী গ্রামের গুরুতর আহত আলিম উদ্দিন (৫০), মজিদ আলী (৫৩) নিজাম উদ্দিন (৪৯) বাহার উদ্দিন (৪৭) ফারুক উদ্দিন (৬২) সুফিয়ান আহমদ (২০), রায়হান উদ্দিন (৩৫) ও জাহেদ আহমদ (৩২) কে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহতের সবাই মাথায় ও মুখে আঘাত প্রাপ্ত বলে জানিয়েছেন জরুরী বিভাগের ডাক্তার হারুন আর রশিদ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়া জাহেদ আহমদের শারীরিক অবনতি ঘটলে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অপর আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
সংঘর্ষে আহত নিজাম উদ্দিন বলেন, দুপুরের দিকে গোপাটে আমরা সবাই জড়ো হই। হঠাৎ করে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় দক্ষিণ মান্দার দরপুর গ্রামের লোকজন। আমাদের প্রায় সবাই আহত হয়েছে। দক্ষিণ মান্দার গ্রামের নানু মিয়া বলেন, আমাদের গোপাটে তারা মাছ ধরতে গেলে বাধা দেই। এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের লোকজন আহত হয়েছেন। চারখাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমদ আলী বলেন, মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। বিষয়টি সামাজিকভাবে নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছে।
বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবের আহমদ বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় কোন মামলা হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে চারখাইয়ে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে।