বিশ্বনাথে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে‘বিস্ফোরক আইনে’ মামলা

suhel chairmanডেস্ক রিপোর্টঃ বিশ্বনাথে উপজেলা পরিষদের ‘চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান’র দ্বন্দের জের ধরে থানায় ‘বিস্ফোরণ আইনে’ মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সদস্য সুহেল আহমদ চৌধুরীকে প্রধান অভিযুক্ত ও বিএনপির নেতাকর্মীসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরোও ৪০/৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ০৯ (তাং ১২/১২/২০১৫ইং)। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ-নুর উদ্দিন পক্ষের জিতু মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
মামলায় অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও অলংকারী ইউপির চেয়ারম্যান লিলু মিয়া, কারিকোনা গ্রামের গোলাম কিবরিয়া, উপজেলা যুবদল নেতা শামীম আহমদ, উপজেলা ছাত্রদল নেতা আলাল আহমদ, ইমরান আহমদ সুমন, আবদুর রব, আবদুর রহিম, উপজেলা শ্রমিক দল নেতা আবুল হোসেন, কারিকোনা গ্রামের ফয়জুর রহমান আশিক, নিজাম উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী সুমন পারভেজ চৌধুরী।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী নিজের সহযোগীদের নিয়ে সরকারি বরাদ্ধকৃত বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ নিয়ম অনুযায়ী সম্পন্ন না করে সেই প্রকল্পের টাকাগুলো আত্মসাৎ করেন। গত ২৬ নভেম্বর উপজেলা পরিষদের সম্বন্বয় সভায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ-নুর উদ্দিন চেয়ারম্যানের (সুহেল) দূর্নীতির বিরুদ্ধে বক্তব্য দিলে সুহেল আহমদ চৌধুরী তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আহমেদ-নুর উদ্দিনের উপর অতর্কিত হামলা করেন। উপজেলা পরিষদের আশপাশ এলাকায় ভাংচুরসহ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন।
ঐদিন বিকেল সুহেল আহমদ চৌধুরী ও লিলু মিয়ার নেতৃত্বে লিখিত অভিযোগে উল্লেখিত অভিযুক্তরাসহ আরোও ৪০/৫০ জন সন্ত্রাসী পিস্তল, বন্দুক, ডেগার, রামদা, ককটেল, পেট্রোল বোমা, হাত বোমাসহ দেশী-বিদেশী অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উপজেলার জানাইয়া গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং জানাইয়া গ্রামের দোকানপাঠ ও লোকজনকে খোঁজা খুঁজি করে হামলা করার অপচেষ্ঠা করে।
সুহেল-লিলুসহ অভিযুক্তরা ককটেল-পেট্টোল বোমা-হাত বোমা নিক্ষেপ করে এসময় এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করে। অভিযুক্তদের ছুড়ে মারা ককটেলের আঘাতে বাদীসহ একাধিক ব্যক্তি গুরুত্বও আহত হয়েছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এসময় ককটেল ও পেট্রোল বোমার আঘাতে হাজী তোতা মিয়া কমপ্লেক্সস্থ বাদীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘গণি মিয়া ভেরাইটিটজ স্টোর, আল-আমিন চায়ের দোকান’ ও হাজী মনির ম্যানশনের কাঁচের গ্লাস ভাংচুর হলে প্রায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে মামলার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।