যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানানোরও বিচার হবে: প্রধানমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্টঃ বাংলাদেশকে জঙ্গিমুক্ত করতে হলে বিএনপি-জামায়াতকে ‘পেয়ারের পাকিস্তান’ নামটা ভুলিয়ে ছাড়তে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জাতির কাছে কী জবাব দেবেন! তিনি যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দিয়েছেন, সম্মান দিয়েছেন। এর আগে যার শুরু করে গেছেন জিয়াউর রহমান। তিনি ও তার মিত্র যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াত ইসলাম বাংদেশের অস্তিত্বকে ধারণ না করে অন্তরে ‘পেয়ারের পাকিস্তান’ কথাটা ধারণ করে। বাংলাদেশকে জঙ্গিমুক্ত করতে হলে ওদের (বিএনপি-জামায়াত) ‘পেয়ারের পাকিস্তান’ নামটা ভুলিয়ে ছাড়তে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পাশাপাশি তাদের যারা মদদ দিয়েছেন এবং মন্ত্রী বানিয়েছেন তাদেরও বিচারের করা হবে। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যখন হয়েছে, সেই বিচারে, সেই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি হয়েছে। খালেদা জিয়া জাতির কাছে কী জবাব দেবে? কী জবাব দেবে?
“যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়া,তাদের সম্মান দেওয়া,এটা তো বাংলাদেশের মানুষের ভুলে গেলে চলবে না। এটা বাংলাদেশের মানুষকে মনে রাখতে হবে। এর বিচারও একদিন ইনশাল্লাহ বাংলার মাটিতে হবে। এর বিচারও একদিন হবে। কারণ আমার হাজার হাজার মানুষকে তারা হত্যা করেছে।”
তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টই বলেছে, জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখল ছিল অবৈধ। আজকে তারা (বিএনপি) গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন উঠায়। গণতন্ত্র কী জিনিস সেটা কি তারা জানে? গণতন্ত্র বানানটাও তারা লিখতে পারবে কিনা সন্দেহ। যারা মানুকে পুড়িয়ে হত্যা করে তারা আবার গণতন্ত্রের বুলি আওরায়। মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছেন বিচার হবে। মামলা মামলা করলে চলবে না। মামলা করা হয়েছে বিচার করার জন্য। তারা মানুষ মারবে আর তাদের বিচার হবে না তা হবে না। তাদের বিচার একদিন না একদিন পেতেই হবে। বিচার চলছে চলবে। কিবরিয়াকে হত্যা করেছেন, আহসান উল্লাহ মাস্টাককে হত্যা করেছে, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছেন। তার পরও আপনাদের মুখ থেকে শুনতে হয়ে গণতন্ত্রের আদর্শের কথা!’
তিনি আরো বলেন, ‘যারা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা দিয়েছিল মিত্র হিসেবে তাদের আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই। বিশ্বে বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যারা মিত্র শক্তিকে সম্মাননা দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়ে গেছে। অর্থনৈতিক মুক্তি পথ দিয়ে গেছে। সে পথকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে হবে।’