সিলেটে ব্যবসায়ীকে অপহরণকালে পুলিশ সহ আটক ২

SYL_Police_arrest_bg_777296996ডেস্ক রিপোর্টঃ কোতোয়ালি থানাধীন নগরীর জল্লারপাড় থেকে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে অপহরণের চেষ্টাকালে এক পুলিশ কনস্টেবলসহ দু’জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় জনতা। মঙ্গলবার দুপুরে জল্লারপাড়ের একটি কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হচ্ছেন- পুলিশের রিজার্ভ ফোর্সের পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামান ও তার সহযোগী রাকিবুল ইসলাম। সে ঠাকুরগাঁও জেলার হাজিপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের পুত্র এবং গোপালগঞ্জ জেলার কাশিলট উপজেলার রাতইল গ্রামের রেজাউল করিমের পুত্র ও পুলিশ সদস্যর সহযোগি রকিবুল ইসলাম (২৫)। বর্তমানে সে নগরীর সোবহানীঘাট এলাকার বাসিন্দা। আটককৃত মনিরুজ্জামানের কনস্টেবল নং-৬৬৫। স্থানীয়রা জানান, কনস্টেবল মনিরুজ্জামানসহ ৫/৬ জন গোয়েন্দা পুলিশের পরিচয় দিয়ে জল্লারপাড় কলোনির বাসিন্দা কবিরুল ইসলামকে অপহরণের চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয়রা তাদের আটক করে কোতোয়ালি থানায় খবর দেন। তবে ঘটনায় জড়িত আরও ৩/৪ জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে জল্লারপার, ছড়ারপরসহ ওই এলাকার বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছিল মনিরুজ্জামান ও তার সহযোগি রকিবুল। গতকাল মঙ্গলবার সকালে চাঁদা আদায়কালে তাদের আটক করে স্থানীয় জনতা। পরে তাদেরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কলোনির তত্ত¡াবধায়ক রিপা বেগম জানান, কিছুদিন আগে ইউসুফ আলী নামের কলোনির বাসিন্দা এক দুধ বিক্রেতাকে এভাবে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ধরে নিয়ে যায়। একইভাবে এই চক্রটি গতকাল মঙ্গলবার কবিরুল ইসলামকে উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ইউসুফ আলী জানান, প্রায় সপ্তাহখানেক আগে কনস্টেবল মনিরুজ্জামানসহ তার লোকজন আমাকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় জোর করে তুলে নেয়। এক পর্যায়ে তারা তাকে অপরহরণ করে নগরীর মিরবক্সটুলা উইমেন্স মেডিকেল কলেজের পেছনে নিয়ে যায়। সেখানে নেওয়ার পর নির্যাতন করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে দুই হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে নিয়ে ছেড়ে দেয়। একই অভিযোগ করেন ওই এলাকার মঞ্জু মিয়া নামে আরেক ক্ষুদে ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, প্রায় মাস দেড়েক আগে এই চক্রের সদস্যরা আমাকে উঠিয়ে নিয়ে ৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করে ছাড়ে। অপহরণের ঘটনায় পুলিশ জড়িত থাকায় হয়রানির ভয়ে তিনি আইনের আশ্রয় নেননি বলে জানান। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জড়িত কনস্টেবল পুলিশের রিজার্ভ ফোর্সের পুলিশ সদস্য। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।