দক্ষিণ আফ্রিকায় খুন হওয়া গোলাপগঞ্জের বাছনের বাড়িতে শোকের মাতম : জানাযা সম্পন্ন

Bason-Miahনোমান মাহফুজ : মায়ের বুকফাটা আর্তনাদ আর স্ত্রী সন্তান সহ স্বজনদের কান্নায় আকাশ পাতাল যেন ভারী হয়ে উঠছে দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হওয়া সিলেটের গোলাপগঞ্জের বাছনের বাড়ি। এলাকা জুড়ে বইছে শোকের মাতম। যদিও প্রভুর নিয়ম একদিন সবাইকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে কিন্তু সন্ত্রাসীদের হামলায় মৃত্যু হওয়ায় কেউ যেন মেনে নিতে পারছেন না বিষয়টি।
নিহত বাছন মিয়া সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ৪নং লক্ষিপাশা ইউপির জাংগালহাটা গ্রামের মৃত ওয়াতির আলীর ছেলে। ৮ ভাই বোনের মধ্যে বাছন ছিলেন সবার ছোট। ২০১২ সালে বিয়ে করেন। দু বছরের একটি ছেলে তার। গত ৭ ডিসেম্বর দেশে আসার কথা থাকলেও আজ লাশ হয়ে ফিরলেন বাছন। আজ বাদ জোহর জাংগালহাটা জামে মসজিদ প্রাং্গনে নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।
বাছনের মা লবজান বিবি ও ৪নং লক্ষিপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ আহমদের সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, আমাদের নিষ্পাপ ছেলেকে যারা হত্যা করেছে আমরা বাংলাদেশ সরকারের দূতাবাসের মাধ্যমে সে দেশের চিহৃত সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। আশা করবো আমাদের ছেলের মতো আর যেন কোন বাংলাদেশী মায়ের বুক এভাবে খালি না হয়।
বাছন মিয়া গত ৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ব্যাবসা প্রতিষ্টানের কাজ শেষে রাতে দক্ষিণ আফ্রিকা লেবফোরটিস্থ বাসায় যান । এ সময় সন্ত্রাসী বার রুমে ঢুকে তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। তিনি দীর্ঘ ৮ বছর ধরে আফ্রিকার লেবফোরটি শহরে একটি ভুষিমালের দোকানে ব্যবসা করে আসছিলেন।