মন্ট্রিয়লে তোতন-অরূপ, ‘দু’জনে কবিতা ও গান’ এর নান্দনিক সন্ধ্যা

1Kobita sondhaসদেরা সুজন (সিবিএনএ)।। সুন্দর-নান্দনিক- স্বর্ণালী ‘একটি আড়িয়াল সন্ধ্যা’ অনুষ্ঠিত হলো কানাডার মন্ট্রিয়লে!স্বল্প পরিসরে হলেও কিছুটা গতানুগতিকের বাইরে অসাধারণ সুন্দর সাবলিল একটি অনুষ্ঠান উপভোগ করলো বিপুল সংখ্যাক প্রবাসীরা। মন্ট্রিয়লে বসবাসরত প্রবাসী অন্যতম আবৃত্তি শিল্পীদের মধ্যে একজন, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আফাজউদ্দিন তোতন আহমেদ। তাঁর কবিতা আবৃত্তি প্রবাসীদেরকে মুগ্ধ করে, জাগিয়ে তুলে, আন্দোলিত করে। তিনি প্রায় দু’দশক ধরে মন্ট্রিয়লের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করে আসছেন। দেশে থাকাবস্থায় নাট্যজগতের পাশাপাশি টিভি ও রেডিওতে আবৃত্তি করতেন।কন্ঠ শিল্পী মশিউদ্দিন অরূপ কনকোর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করছেন।
কবি শিরীন সুলতানা সাজি’র ছন্দময় সঞ্চালনায় বাংলাদেশের আড়িয়াল পাবলিকশের আয়োজনে শামীম ওয়াহিদ এর ব্যবস্থাপনায় রবিবার সন্ধ্যায় ৬৭৬৭ কোট দ্যা নেইজের একটি হলে অনুষ্ঠিত হলো এই ব্যতিক্রমী সন্ধ্যা ।
আফাজউদ্দিন তোতন আহমেদ-এর আবৃত্তি ও মশিউদ্দিন অরূপ-এর গান নিয়ে ‘দু’জনে কবিতা ও গান’ অনুষ্ঠানটিতে হল ভর্তি সুধিজনের উপস্থিতি ছিলো দেখার মতো। অনুষ্ঠানের শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন মামুনুর রশীদ ও মনিরুজ্জামান খোকন, কাজী রমজান রতন ও শামীম ওয়াহিদ।
আফাজউদ্দিন তোতন আহমেদ এর কবিতা আবৃত্তির মাঝে মাঝে মশিউদ্দিন অরূপের গানে বিমোহিত ছিলেন উপস্থিত দর্শক শ্রোতা। মশিউদ্দিন অরূপ তার নিজের লেখা বেশ ক’টি গানের পাশাপাশি ‘ওরে নীল দরিয়া, আমায় দে রে দে ছাড়িয়া /বন্দী হইয়া মনুয়া পাখি হায়রে, কান্দে রইয়া রইয়া….’ সুপরিচিত প্রিয় গানটির সুরে সুর মিলালেন উপস্থিত সবাই আর দর্শক শ্রোতারা ঠিক যেন চলে গেলেন সেই ফেলে আসা দিনগুলোর মাঝে, প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে।
সত্যি, কবিতা আর গানে মুগ্ধ হলেন উপস্থিত সবাই। এমন সুন্দর সন্ধ্যা উপহার পাবে মন্ট্রিয়লবাসি এ প্রত্যাশা ছিলো সবার। আয়োজকরাও বলেছেন ধারাবাহিকভাবে আসবে রকমারি অনুষ্ঠানের সূচি। আগামী পর্বে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারনসহ প্রবাসী শিল্পী সন্ধ্যা।