সাকা ও মুজাহিদের ফাঁসিতে নিউইয়র্কে আনন্দ উল্লাস ও মিষ্টি বিতরণ

সাকা ও মুজাহিদের ফাঁসিতে জ্যাকসন হাইটসে আনন্দ সমাবেশ। ছবি- এনা।
সাকা ও মুজাহিদের ফাঁসিতে জ্যাকসন হাইটসে আনন্দ সমাবেশ। ছবি- এনা।

নিউইয়র্ক থেকে এনা: মানবতাবিরোধী অভিযোগে দন্ডপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য সালা উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির রায় কার্যকর করায় নিউইয়র্কে আনন্দ উল্লাস ও মিষ্টি বিতরণ করেছে নিউইয়র্ক গণজাগরণ মঞ্চ, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যুক্তরাষ্ট্র শাখাসহ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি। যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় কার্যকর করার সাথে সাথেই এই সব সংগঠনের পক্ষ থেকে আনন্দ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। আনন্দ সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয় গত ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় (নিউইয়র্ক সময়) বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকা জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার সিটি প্লাজায়। নিউইয়র্ক গণজাগরণ মঞ্চের কর্মকর্তারা সাংবাদিক মুজাহিদ আনসারীর পরিচালনায় আনন্দ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন একুশে পুরস্কার প্রাপ্ত বিশিষ্ট অভিনেতা জামাল উদ্দিন হোসেন, প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্যাহ, নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি সৈয়দ জাকির হোসেন রনি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহবায়ক ড. এম এ বাতেন, মুক্তিযোদ্ধা তোফাজ্জল করিম, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আরেক অংশের আহবায়ক আব্দুল মুকিত চৌধুরী, বিশিষ্ট নাট্যকার কবীর আনোয়ার, মুক্তিযোদ্ধা সরাফ সরকার, ড. প্রদীপ রঞ্জন কর, ঐক্য পরিষদ নেতা শিতাংশু গুহ, স্বীকৃতি বড়–য়া প্রমুখ।
আনন্দ ও বিজয় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতা ও বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নুল আবেদীন, শিল্পী সবিতা দাস, শিল্পী টিপু আলম, গোপাল স্যানাল, ডা. টমাস দুলু রায়, রাজিব আহসান, আনোয়ার হোসেন, সেবুল দাস, মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মমতাজ শাহনাজ, বিশিষ্ট অভিনেত্রী রওশন আরা হোসেন, যুক্তরাষ্ট্র যুব লীগের সাবেক সভাপতি মিসবাহ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আলম, সেবুল মিয়া, জামাল হোসেন, আব্দুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মুনির হোসেন, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মালেক, বিশিষ্ট আলোকচিত্র শিল্পী ওবায়দুল্লাহ মামুন, মাহবুব আরা গিনি, আব্দুল হামিদ, তোফাজ্জল লিটন, গোলাম মোস্তফা সংগ্রাম, নুসরাত চৌধুরী, দিথি হাসান, নুসরাত তন্নী প্রমুখ।
অভিনেতা জামাল উদ্দিন হোসেন বলেন, আজকে আমি খুবই আনন্দিত। কারণ আমরা দেশ স্বাধীন করেছি, দেশের স্বাধীনতা দেখিছি, আজকে রাজাকারদের বিচার দেখেছি। আমরার আর পাওয়ার কিছু নেই। এ জন্য সৃষ্টি কর্তাকে ধন্যবাদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিচার বিভাগসহ দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান।
সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বজন হারানো আমাদের ভাইদের কাছে, বোনদের কাছে, মাদের কাছে, বাবাদের কাছে যে দায়বদ্ধতা ছিলো আজকে কুখ্যাত দুই রাজাকারের ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ায় আমরা কিছুটা দায় মুক্ত হয়েছি। তিনি বলেন, আমাদের সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। কারণ দেশে- বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র আমাদের প্রতিহত করতে হবে।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, সব মৃত্যুই দু:খজক। আবার কিছু মৃত্যু স্বস্তিদায়ক। আজকের মৃত্যু দুটো স্বস্তি দায়ক। তারা আরো বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে। তারা জামায়াতে ইসলামিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। ৪৪ বছর ধরে আমরা এ সব যুদ্ধাপরাধীদের দম্ভ দেখেছি, আজকে দম্ভ ঠুস হতেও দেখেছি।
আনন্দ সমাবেশে সরকারের প্রশংসাসহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, এই সমাবেশের আগেও একই স্থানে গণজাগরণ মঞ্চসহ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে আনন্দ সমাবেশ করতে দেখা যায়। এই সময় তারা মিষ্টি বিতরণ করেন।