ফাঁসি রুখতে জাতিসংঘ, ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের হস্তক্ষেপ কামনা

58241সুরমা টাইমস ডেস্কঃ বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি রুখতে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ব্রিটিশ ব্যারিস্টার টোবি ক্যাডম্যান।
বুধবার ডয়চে ভেলের ইংরেজি বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ ব্যারিস্টার টোবি ক্যাডম্যান দাবি করেন, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে সংক্ষিপ্ত বিচারের মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য ফাঁসিতে ঝোলানো হচ্ছে। গ্রেহেম লুকাসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ’এই বিচারে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা হয়নি।’

সাক্ষাৎকারে টোবি ক্যাডম্যান মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে তিনি বলে, “দু’টি (সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের) মামলাতেই যুক্তিতর্কের জন্য সীমিত সময় দেয়া হয়েছে।”

রিভিউয়ের ক্ষেত্রেও প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্টে আপিল বিভাগের যে বিচারকরা এর আগে আপিল খারিজ করেছেন, তাঁরাই রিভিউ আবেদন শুনানি করেছেন।”

ক্যাডম্যান ডয়চে ভেলের ইংরেজি বিভাগেকে আরো জানান, মুজাহিদের রিভিউ শুনানির পরের দিন এবং সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ক্ষেত্রে রিভিউ শুনানির ৩০ মিনিটের মধ্যে রায় দেয়া হয়।

দীর্ঘ এক সাক্ষাৎকারে টোবি ক্যাডম্যান বিচারকার্যের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বলেন, “শেখ হাসিনা সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দুর্বল করতে প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে এই ফাঁসি কার্যকর করতে যাচ্ছে। সরকার এই বিচার প্রক্রিয়া যে প্রভাবিত করেছে তার সুস্পষ্ট প্রমাণ আমার কাছে আছে।”

সাক্ষাৎকারে সাক্ষীদের সাক্ষ্যদানে বিরত রেখে বিচারকার্যের নিরপেক্ষতা বিনষ্ট করার অভিযোগ তুলে এর পক্ষে দৃষ্টান্ত তুলে ধরে ক্যাডম্যান বলেন, “সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ৬ জন সাক্ষীকে আদালতে আসতে দেয়া হয়নি।” ওই সাক্ষীদের বিদেশ থেকে আসা রুখতে সরকার বিমানবন্দরে বিশেষ নির্দেশনা পাঠিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি রুখতে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের হস্তক্ষেপও কামনা করেছেন ক্যাডম্যান।