রাজন হত্যা মামলা- দ্রুত নিষ্পত্তিতে প্রধান বিচারপতির অনুমতি

Razonসুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেটে চাঞ্চল্যকর ১৩ বছরের শিশু সিলেটের সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলাটি হাইকোর্টে দ্রুত নিষ্পত্তির অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। আইন অনুসারে বিচারিক আদালতের রায়ের ভিত্তিতে মামলাটি ডেথ রেফারেন্সসহ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষের আপিল আবেদনের নিষ্পত্তি হবে হাইকোর্টে। এ লক্ষ্যে দ্রুত এ মামলা ডেথ রেফারেন্সের নথির পেপারবুক তৈরিরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

এছাড়াও খুলনার শিশু রাকিব হত্যা মামলাটিও দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করার জন্য প্রধান বিচারপতি আদেশ দেন।

সূত্রে জানা যায়, গত ৮ নভেম্বর পৃথক পৃথকভাবে আলোচিত রাজন ও রাকিব হত্যা মামলার রায় দেন সিলেট ও খুলনার আদালত। এর মধ্যে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধার আদালত রাজন হত্যার দায়ে মূল আসামি কামরুলসহ ৪ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। ১৩ আসামির মধ্যে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, তিনজনকে সাতবছরের কারাদণ্ড ও ২ জনকে একবছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। খালাস দেওয়া হয়েছে তিনজনকে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি হলেন, মহানগরীর জালালাবাদ থানার কুমারগাঁও এলাকার শেখপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে কামরুল ইসলাম (২৪), চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না (৪৫), তাজ উদ্দিন বাদল (২৮) ও পলাতক জাকির হোসেন পাভেল। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ময়না চৌকিদারকে অপর দু’টি ধারায় পৃথক পৃথকভাবে সাত বছর ও এক বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।

হত্যাকাণ্ডের ভিডিওচিত্র ধারণকারী নূর মিয়ার যাবজ্জীবন প্রদান করেন আদালত। সাত বছরের সাজা হয় কামরুলের দুই ভাই মুহিত আলম ও আলী হায়দার ওরফে আলী এবং পলাতক আসামি শামীম আহমদের। অপর দুই আসামি আয়াজ আলী ও দুলালকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে দশ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে ৩ মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। অপরাধ সন্দেহজনকভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস পান ফিরোজ মিয়া, আজমত আলী ও রুহুল আমিন। এছাড়াও বিচারিক আদালতের রায় ঘোষণার মাত্র দু’দিনের মাথায় উচ্চ আদালতে নথি পৌঁছানোর ঘটনাও ব্যতিক্রমী বলে মনে করছেন আইনজ্ঞরা।