বাংলাদেশ ভারত সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশের ভূমিকায় হতাশা

বাংলাদেশ ভারত সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশের ভূমিকায় হতাশাব্যক্ত করে নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোঃ শামসুদ্দীন ও সদস্য সচিব ডা: সামছুল আলম যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “ফেলানী হত্যার বিচার, সীমান্ত হত্যা ও মাদক পাচার বন্ধ, পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়, পরিবেশ বিধ্বংসী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ এবং দ্বিপাক্ষীয় সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা নতজানু পররাষ্ট্রনীতির পরিচয় বহন করে।” তারা বলেন, “২০১৫ সালে মার্চ থেকে নভেম্বর ২৬জন বাংলাদেশীকে বিএসএফ গুলি করে ও নির্যাতন করে হত্যা করেছে অথচ সরকার নিশ্চুপ-নির্বাক আমরা স্তম্ভিত।”
মাদকের ভয়াবহ ছোবল ঐশিকে পিতা-মাতা হন্তারক বানাচ্ছে। সামজিক ও নৈতিক অবক্ষয় ডেকে আনছে। ভারত সীমান্তে এলাকায় ফেনসিডিল তৈরী ও গাঁজা চাষ করে বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে। সরকার কোন কথাই বলেনি-আমরা মর্মাহত।”

ফেলানী হত্যার বিচার না হলে সীমান্ত হত্যা বন্ধ হবে না বলে তারা মত প্রকাশ করেন এবং ফেলানী হত্যার বিচার প্রক্রিয়া তরান্বিত করতে সরকারকে তৎপর থাকতে আহ্বান জানান।

শুকনো মৌসুমে বাংলাদেশে মরুকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। ফারাক্কা, গজল ডোবা আর টিপাইমুখ সহ সকল যৌথ নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে সরকারকে জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বিষয়টি উত্থাপনের আহ্বান জানান।