‘হামলাকারীরা ইয়াজিদের বংশধর, দেশ ও জাতির শত্রু’

tazia misilসুরমা টাইমস ডেস্কঃ হোসাইনী দালানের ইমামবাড়ায় শনিবার ভোররাতে বোমা হামলার কারণে ওই সময়কার তাজিয়া মিছিল না হলেও সকালে যথারীতি তাজিয়া মিছিল হয়েছে এবং তাতে ‘হায় হোসেন-হায় হোসেন’ মাতম তুলেছেন কয়েক হাজার শিয়া। প্রায় পনেরশ’ বছর আগে ইমাম হোসেইনের হত্যার দিনটি স্মরণে কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বোমা হামলার ঘটনায় বাংলাদেশের শিয়া নেতারা বলছেন, হামলাকারীরা ইসলামের শত্রু।

শিয়া সম্প্রদায়ের নেতাদের এক বিবৃতিতে হামলাকারীদের ‘ইসলাম, দেশ ও জাতির শত্রু’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলা হয়েছে, তারা ভয় পাননি।

এই হামলা কারা চালিয়েছে বলে মনে করেন- জানতে চাইলে তাজিয়া মিছিলে অংশগ্রহণকারী আব্দুল জব্বার নামে পঞ্চাশোর্ধ্ব এক ব্যক্তি বলেন, “ইয়াজিদের বংশধরেরা এই হামলা চালিয়েছে। ইমাম হোসেনকে যারা হত্যা করেছিল, তারা এখনও আছে।”

সকাল ১০টায় নাজিমউদ্দিন রোডের হোসাইনী দালান থেকে তাজিয়া মিছিল শুরু হয়ে পুরান ঢাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর দৌহিত্র ইমাম হোসাইনের (রা.) শহীদ দিবস আরবি মহররম মাসের ১০ তারিখকে ত্যাগ ও শোকের প্রতীক হিসেবে পালন করে মুসলমানরা।

সপ্তম শতকে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে শহীদ হন ইমাম হোসাইন। ক্ষমতা ধরে রাখতে মুয়াবিয়াপুত্র ইয়াজিদ ইমাম হোসাইনকে হত্যার পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন।

আশুরার দিনটি ঘটা করে পালন করে শিয়া মুসলিমরা। রাজধানীর ইমামবাড়ায় প্রায় ৪০০ বছর ধরে তাজিয়া মিছিল চলে আসছে বলে ‘হোসাইনী দালান ইমামবাড়ি’র এক বিবৃতিতে বলা হয়।

“এ জাতীয় কাপুরুষোচিত ও ন্যক্কারজনক কাজ ৬১ হিজরি সনে প্রিয়নবী হজরত মোহাম্মদ (স.) ও তার দৌহিত্র ইমাম হোসাইনের (আ.) সঙ্গে ঘটেছিল। ঐতিহাসিক হোসাইনী দালান ইমামবাড়ায় এর পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।” পাকিস্তানসহ মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে শিয়া সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনা ঘটলেও এই ধরনের হামলা বাংলাদেশে আগে দেখা যায়নি। এই হামলায় একজন নিহত এবং অর্ধ শতাধিক আহত হয়।

হোসাইনী দালান ইমামবাড়ার সুপারিনটেনডেন্ট এম এম ফিরোজ হোসেন বিবৃতিতে বলেন, “বিগত রাতে দুষ্কৃতকারী কর্তৃক যে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে, তা শুধু হোসাইনী দালান নয়, পুরো দেশের ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উপর বিরাট আঘাত।”