মুক্তিযোদ্ধা দম্পতি আতঙ্কিত : প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

papluসুরমা টাইমস ডেস্কঃ মহান মুক্তিযোদ্ধা দম্পতির সন্তান হয়েও নিজেকে অসহায় মনে হচ্ছে। একটি দখলবাজ সন্ত্রাসী চক্র ও এক রাজাকারের কাছে আমরা জিম্মি হয়ে পড়েছি। পৈত্রিক সম্পতি রক্ষায় হীমশিম খাচ্ছি। ওই চক্রটি হামলা চালিয়ে দখল করে নিয়েছে আমাদের জায়গা-জমি।
এজন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। প্রশাসন দখলবাজ সন্ত্র্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও আমাদের নিরাপত্তা দেবে বলে আশা রাখছি। বৃহস্পতিবার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন আশা করেন সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর এলাকার নালিউরি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা দম্পত্তির ছেলে ছাইদুর রহমান পাপলু।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধারাও উপস্থিত থেকে ঘটনার নিন্দা ও জায়গা উদ্ধারের দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে পাপলু জানান, তার পিতা ফজির উদ্দিন ও মা ছায়ারুন বেগম দুইজনই মুক্তিযোদ্ধা। একই গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এসএ রিপন, তার চাচাত ভাই নজরুল, মইনুল, জয়নুল, ছাব্বির, রুমেল গংদের সঙ্গে জায়গা নিয়ে DSC_0008 copyতাদের বিরোধ রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে তারা নানা উৎপাত শুরু করে। গত ৫ অক্টোরব সকালে রাজাকার আব্দুল হকের সহযোগিতায় প্রকাশ্যে তাদের বাড়িতে হামলা করে জায়গা দখল করে নেয়। ওই সময় সন্ত্রাসী চক্র বাড়ির সীমানা পিলার উপড়ে পুকুরে ফেলে। গাছপালা ও সবজি বাগান কেটে নষ্ঠ করে রাখে। বর্তমানে তারা ওই জায়গা ও পুকুর ব্যবহার করতে পারছেন না।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, উপজেলার নালিউরি মৌজার, জেএল নং-৭৪, দাগ নং ১৪৯ এ ২.৬৮ একর ও বাটা দাগ নং ৮০ তে তাদের ভোগ দখলীয় প্রায় ৭৫ শতক জায়গা রয়েছে। এরমধ্যে ৮০ দাগের জায়গা ওই চক্রটি দখল করে নেয়। এ ছাড়া ২৫৪, ২৫৫, ২৫৬ দাগে এজমালি সম্পত্তির অংশ রয়েছে। এই দাগগুলো রিপন ও তার চাচারা ভোগ দখল করে আসছেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে এ নিয়ে গ্রামের পঞ্চায়েত শালিস আহবান করা হলেও রিপন উপস্থিত হননি। ৫ অক্টোবরের ঘটনায় ওইদিন রাজাকার আবদুল হক ও সাবেক ছাত্রদল নেতা রিপনসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা (নম্বর ৭/১৬৬) করা হয়।
ছাইদুর রহমান পাপলু বলেন, এসএ রিপনের বিরুদ্ধে, পুলিশ এসল্ট, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী ঘটনায় থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তার চাচা আব্দুল হক স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান সম্পর্কে পাকিস্তানীদের তথ্য প্রদান করত। তাকে স্বাধীনতার পরপর মুক্তিযোদ্ধারা আটক করে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। আমার পিতা মুক্তিযোদ্ধা ফজির উদ্দিন এলাকার মানুষ বলে তাকে প্রানে মারা থেকে রক্ষা করেন। যার জীবন রক্ষা করলেন সেই রাজাকারই আবার আমার মরহুম বাবার জয়াগা জমি দখল করে নিচ্ছে। বর্তমানে তিনি ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন দাবি করে বলেন, ওই চক্রটি যে কোনো সময় আবারও সন্ত্রাসীরা হামলা-মামলা করতে পারে। বেদখল হওয়া ভূমি উদ্ধার ও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন পাপলু।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল মুতলিব, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আবদুল জলিল, প্রতিষ্ঠাতা কমান্ডার আমান উদ্দিন আহমদ, ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়ন কমান্ডার ইদ্রিস আলী প্রমুখ।