মিনায় সিলেটের আরেক হাজীর লাশের সন্ধান

abdul-gaffar-536x600সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সৌদি আরবের মিনায় পদদলনের ঘটনার পর নিখোঁজ সিলেটের আরেক হাজীর লাশের সন্ধান পাওয়া গেছে। সৈয়দ আব্দুল গাফ্ফার (৭২) নামের ওই হাজী নগরীর কুয়ারপার ভাঙ্গাটিকর পাড়া আ/এ রজনীগন্ধা ১০ এর বাসিন্দা।তাকে মক্কায় দাফন করা হয়েছে বলে পরিবার সূত্র জানিয়েছে।নিহত গাফফার রূপালী ব্যাংক রিকাবী বাজার শাখার অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র স্টাফ অফিসার ছিলেন।

আব্দুল গাফফারের জামাতা তাফাজ্জল হোসেন ইমন জানান, বুধবার তার শশুড়ের লাশের সন্ধান ও মক্কায় দাফনের বিষয়টি তারা সৌদি হ্জ্জ মিশনে যোগাযোগ করে বাংলাদেশী হজ্জ এজেন্সীর মুয়াল্লিম তোফায়েল আহমদের কাছ থেকে নিশ্চিত হয়েছেন। ২৪ সেপ্টেম্বর মিনায় শয়তান স্তম্বে পাথর নিক্ষেপের সময় পদদলনের ঘটনার পর নিখোঁজ হন তার শশুড়।

ওই সময় তার শাশুড়ি আনোয়ারা খাতুন (৫৫)ও সঙ্গে ছিলেন। তিনি এই ঘটনায় আহত হলেও এখন ভালো আছেন। তবে স্বামীকে হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। আগামি ২৬ অক্টোবর তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। জানা গেছে, আব্দুল গাফফার ও তার স্ত্রী আম্বরখানা আবাবীল এজেন্সির মাধ্যমে গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মত পবিত্র হজ পালন করতে মক্কাশরিফ যান। ২৪শে সেপ্টম্ভর বৃহস্পতিবার মিনায় শয়তান স্তম্ভে পাথর ছোঁড়ার সময় ৭৬৯ হাজির মৃত্যুর ও সহস্রাধিক জন আহত হওয়ার খবরে তিনি তার শ্বশুর ও শ্বাশুরিকে ফোন দেন। দীর্ঘসময় পর ফোন ধরেন তার শ্বাশুরি আনোয়ারা খাতুন। সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি সৌদির স্থানীয় এক হাসপাতালে আহত অবস্তায় চিকিতসায় আছেন। তিনি জানান, মিনার প্রদক্ষিণের সময় স্বামী আব্দুল গফফার ছিলেন হুইল চেয়ারে তিনি হাতল ধরে ঠেলছিলেন।

হঠাৎ মুনষজনের ধাক্কায় হুইল চেয়ার হাত থেকে ছুটে যায় এবং অজ্ঞান হয়ে পড়েন। আব্দুল গাফফারের ২ ছেলে ৪ মেয়ের। তাঁর পাস্টপোর্টের নাম্বর: BE
0077818 Maktab no: 81।তার মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এদিকে আবাবীল ট্রেভেলসের মাধ্যমে আব্দুল গাফফার ও তার স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন হজে গেলেও দুর্ঘটনার পর ট্রেভেলস কর্তুপক্ষ আহত নিহতেদের ব্যাপারে তথ্য দিয়ে কোনো ধরণের সহায়তা করেনি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাদের জামাতা তাফাজ্জুল হোসেন ইমন।