অবশেষে কাজিরবাজার সেতুর উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী

Kazirbazar Bridgeসুরমা টাইমস ডেস্কঃ অবশেষে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে সিলেট নগরীর কাজিরবাজার সেতু। আগামী বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটি উদ্বোধন করবেন। সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় এই তারিখ নির্ধারণ করেছে বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটি উদ্বোধন করবেন।
গত ২০ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গার নয়টি সেতু উদ্বোধন করেন। তন্মধ্যে সিলেটের দুইটি সেতুও ছিল। তবে উদ্বোধনের তালিকায় থাকা সিলেটের কাজিরবাজার সেতুটি শেষ মুহূর্তে বাদ পড়ে। ওই সময় গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী সিলেট এসেই সেতুটি উদ্বোধন করবেন। তবে শেষ পর্যন্ত ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটি উদ্বোধন হচ্ছে।
সিলেট সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মনিরুল ইসলাম জানান, আগামী ৮ অক্টোবর কাজিরবাজার সেতুর উদ্বোধনের জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ। প্রধানমন্ত্রী এ সেতুটি উদ্বোধন করবেন।
তিনি জানান, ওইদিন সকাল ১০টায় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কাজিরবাজার সেতুর উদ্বোধন করবেন।
কাজিরবাজার ব্রিজটিকে প্রথমাবস্থায় চার লেন বিশিষ্ট ৩৬৬ মিটার দীর্ঘ এবং ১৯ মিটার প্রস্থের অত্যাধুনিক সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। প্রাথমিক নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৪৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। ২০০৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর সেতুটির ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান ও যোগাযোগমন্ত্রী নাজমুল হুদা।
সে সময় সেতুটির নির্মাণকাজ ২০০৭-০৮ অর্থবছরের মধ্যে সমাপ্ত করার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে সেতুটির কাজ শেষ হয়নি। ক্ষমতার রদবদল ঘটায় ২০০৯ সালে মহাজোট সরকার কাজিরবাজার সেতু প্রকল্প সংশোধন করে। তখন নির্মাণ ব্যয় বাড়িয়ে করা হয় ১৬২ কোটি টাকা।
এসময় নগরীর শেখঘাটে ঐতিহ্যের জিতু মিয়ার বাড়ি রক্ষা করার জন্য সেতুর নকশা বদলও করা হয়। এ ছাড়া সেতুর দৈর্ঘ্য বাড়ানো হয় ২৫ মিটার। সে সময় ব্যয়ও বাড়ে। শেষপর্যন্ত নির্মাণ ব্যয় দাঁড়ায় ১৩৯ কোটি টাকা। অবশ্য এজন্য সেতুর প্রস্থ ১৯ মিটার থেকে কমিয়ে ১৮ দশমিক ৪ মিটার করা হয়।
এদিকে কাজিরবাজার ব্রিজের সঙ্গে বরইকান্দি-কামালবাজার সড়কের সংযোগ সড়ক প্রকল্পের অনুমোদন এখনো হয়নি। ডিপিইসি মিটিংয়ে প্রকল্পটি উপস্থাপিত হওয়ার পর কিছু সংশোধনের জন্য ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্র। সংশোধনের পর ফের উপস্থাপন করা হবে। সংযোগ সড়কটি নির্মাণের জন্য ৩৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।