সিলেটে পরকীয়ার দায়ে সাংবাদিক জয়নাল-তানিয়া জুটির বিরুদ্ধে অবশেষে মামলা
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেটে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে অবশেষে পরকীয়া জুটি জয়নাল-তানিয়ার বিরুদ্ধে মামলার হয়েছে। তানিয়ার স্বামী জাকির হোসেন দীপু শনিবার রাতে কোতোয়ালী মডেল থানায় এ পরকীয়া জুটিসহ তাদের সহযোগী আরো ৩জনের নামে এ মামলার এজাহার দাখিল করেন।
থানার দায়িত্বরত অফিসার ঘটনা তদন্ত করে রিপোর্ট দেয়ার জন্য এএসআই রুহুল আমীনকে দায়িত্ব প্রদান করেছেন। মামলার প্রধান আসামী পরকীয়া প্রেমিক জয়নাল আহমদ ওরফে অভি(২৮) মৌলভাবাজার জেলার কুলাউড়া থানার ইসলামনগরের মৃত হাশিম মিয়ার পুত্র। দুই সন্তানের জনক ‘লম্পট’ জয়নাল সিলেট নগরীর মেন্দিবাগস্থ শশুরের বাসায় স্বপরিবারে অবস্থান করে নিজেকে এশিয়া টিভি’র প্রতিনিধি বলে দাবি করে থাকে।
অপর আসামী পরকীয়া তানিয়া আক্তার (২০) হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার সদরাবাদের আতাউর রহমানের মেয়ে। বর্তমানে তারা সপরিবারে সিলেট নগরীর ওসমানী মেডিকেল কলোনীস্থ শাপলা ১০৪নং বাসায় ভাড়া থাকেন। তানিয়ার পিতা আতাউর রহমান সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মচারী (কোক) বলে জানা গেছে। মামলার অন্যান্য আসামীরা হচ্ছে তানিয়ার পিতা আতাইর রহমান ভাই বুলবুল, ও তার মামা ছোয়াদ মিয়া।
জানা গেছে, সংবাদকর্মী জাকির হোসেন দীপু ২০১৪সালের ২৪এপ্রিল রেজিষ্টারী নিকাহনামা মূলে তানিয়া আক্তারকে সামজিকভাবে বিয়ে করেন। বিয়ের পরও ছেলেবন্ধুদের সাথে শারিরীক সম্পর্ক অব্যাহত রাখে গৃহবধূ তানিয়া । সে প্রায়ই নাইওরীর কথা বলে পিত্রালয়ে গিয়ে ছেলে বন্ধুদের সাথে বেপরোয়া চলাফেরা ও মেলমেশায় মজে থাকেতো। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহও লেগে তাকতো।
পরপুরুষের সাথে সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় পরকীয়া জুটি তানিয়া ও জয়নাল স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে গত ১০সেপ্টেম্বর নগরীর দরগাগেইটস্থ আবাসিক হোটেল ময়রুনের ১০৮নং কক্ষে অবস্থান নিয়ে ফুর্তি আমোদে লিপ্ত হয়।
খবর পেয়ে তানিয়ার স্বামী জাকির হোটেরে গেলে হাতে ধরা পড়ে তানিয়া-জয়নাল নামের পরকীয়া জুটি। এসময় তারা সহযোগীদের ডেকে নিয়ে স্বামী জাকির হোসেন দীপুকে মারপিট করে টাকা ও মোভি ক্যমেরা ছিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই তারা হোটেল থেকে সটকে পড়লেও তাদের হোটেলে অবস্থানের রেকর্ড থেকে যায় ।
ঘটনাটি তাৎক্ষনিক সামাজিকভাবে সম্মানজনক নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হলে জাকির মামলা না করে প্রথমে থানায় সাধারন ডায়েরী করেন। কিন্তু পরবর্তীতে তানিয়া পরিবার বিষয়টির সামাজিক নিস্পত্তি না করে জাকিরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলার চেষ্টা শুরু করে।
বাধ্য হয়ে জাকির শনিবার (৩অক্টোবর) রাতে সিলেট কোতয়ালী মডেল থানায় পরকীয়া জুটি জয়নাল-তানিয়াসহ ৫জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার এজাহার দায়ের করেন।
এজাহার পেয়ে থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেকেন্ড অফিসার ফয়েজ আহমদ ঘটনা তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদানের জন্য এএসআই রুহুল আমিনকে দায়িত্ব দেন। তদন্তে পুলিশ ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেলেও মামলাটি রেকর্ডে না নেয়ার জন্য ব্যক্তি ও মহল জোর তদবির চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কাতোয়ালী থানার সেকেন্ড অফিসার ফয়েজ আহমদ জাকিরের এজাহার প্রাপ্তি’র সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।