সততার অনন্য নজির : রাস্তায় দশ ভরি স্বর্ণ পেয়ে ফিরিয়ে দিলেন গোলাপগঞ্জের এসআই
গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধিঃ এবার এক সততার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টর (এস আই) খন্দকার আতিকুর রহমান। দায়িত্বরত অবস্থায় রাস্তায় ১০ ভরি স্বর্ণালংকারসহ একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে মালিককে খুঁজে বের করে ফিরিয়ে দিলেন তা।
গত ২ সেপ্টেম্বর দুপুরবেলা লক্ষীপাশা ইউনিয়নের বাইশ-মুরা পয়েন্ট দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ রাস্তায় একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে তোলে নিয়ে তাতে স্বর্ণ দেখতে পান। ব্যাগের মধ্যে কোন ঠিকানা না থাকায় আশেপাশের লোকজনকে ব্যাগ হারিয়ে কেউ এখানে খুঁজতে এলে থানায় যেতে বলেন। এবং নিজের ফোন নাম্বারও দিয়ে যান।
ঘণ্টা দুয়েক পরে স্বর্ণের মালিক দাবিদার গোলাপগঞ্জের উত্তরবাগ গ্রামের মোহাম্মদ মান্না ঘটনাস্থলে এসে খুঁজাখুঁজি করে স্থানীয় লোকজনের কাছে এস আই আতিকের নাম্বার পেয়ে তাকে ফোন দিয়ে ব্যাগ হারানোর কথা বলেন। মান্নার বর্ণনা অনুযায়ী ব্যাগের মিল থাকায় এস আই আতিক নিশ্চিত হয়ে তা মালিককে ফিরিয়ে দেন। এতে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার ছিল যার বাজারমূল্য প্রায় ৪ লক্ষ টাকা।
এই প্রতিবেদককে মান্না বলেন, তিনিও তাঁর বোন ওই এলাকা দিয়ে সিএনজি অটোরিকশা করে যাওয়ার সময় অসাবধানতা বশত স্বর্ণের ব্যাগটি পড়ে যায় যাতে তাঁর বোনের ১০ ভরি স্বর্ণালংকার ছিল। তিনি বলেন- ‘স্বর্ণ ফিরে পাওয়ার আশাই ছেড়ে দিয়েছিলাম, এত মূল্যবান জিনিস রাস্তায় পেয়ে কেউ ফিরিয়ে দিবে ভাবিনি, পুলিশ ভাইকে ধন্যবাদ’।
এস আই খন্দকার আতিকুর রহমান এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘সেদিন এই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় ব্যাগটি পড়ে থাকতে মালিককে খুঁজে বের করে ফিরিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেই, স্থানীয় লোকদের সহায়তায় প্রকৃত মালিককে খুঁজে পেয়ে ব্যাগটি ফিরিয়ে দিয়ে আমি আনন্দিত’।
এদিকে, গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি ফজলুল হক শিবলী জানান, ‘এস আই আতিক খুব সৎ ও নিষ্ঠাবান অফিসার, সে একটু চাপা স্বভাবের তাই এই ঘটনা জানাজানি হতে দেরি হয়েছে’।
পুলিশ বাহিনীতে এরকম আরও অফিসার আছে দাবি করে এই কর্মকর্তা বলেন -‘জনগণকে সেবা দেয়াই আমাদের কাজ, মিডিয়ায় পুলিশের শুধু নেগেটিভ ব্যাপার ফলাও করা হয়, পজেটিভ ঘটনাও প্রচার হওয়া দরকার’।