সিউল-ঢাকা-সিউল ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা

Seoul-Dhaka-Seoul Flight & others BILATERALS - 02মাঈনুল ইসলাম নাসিম : প্রায় সাড়ে ৪শ’ কোরীয় প্রতিষ্ঠানের সরাসরি বিনিয়োগ রয়েছে বর্তমানে বাংলাদেশে। উন্নয়ন সহায়তা হিসেবে ২০১৫-১৭ মেয়াদে তিন বছরে বাংলাদেশকে সাড়ে ৩শ’ মিলিয়ন ইউএস ডলার দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া, আগের টার্মে যা ছিল আড়াইশ’ মিলিয়ন। দেশটির শীর্ষ ৩ উন্নয়ন সহযোগী দেশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ। প্রায় ১৫ হাজার বাংলাদেশীর বসবাস দেশটিতে। মাস্টার্স ও পিএইচডি অধ্যয়নরত আছেন প্রায় ১ হাজার বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রী। কোরিয়ার সাথে বাংলাদেশের রয়েছে বিলিয়ন ডলারের ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট। দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক-বানিজ্যিক চলমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করতে সিউল-ঢাকা-সিউল রুটে ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত জুলফিকার রহমান।

চলতি বছরের মাঝামাঝি সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগ দেন পেশাদার কূটনীতিক জুলফিকার রহমান। তার আগে আংকারায় বাংলাদেশ দূতাবাসে টানা সাড়ে ৪ বছর সফলতার সাথে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তুরষ্কের সাথে বাংলাদেশের বিলিয়ন ডলারের বানিজ্য সম্প্রসারণ এবং ঢাকায় সপ্তাহে প্রতিদিন তার্কিশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চালুতে বিশেষ ভূমিকা রাখেন তিনি। এই প্রতিবেদকের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় রাষ্ট্রদূত জুলফিকার রহমান বলেন, “কোরিয়ান এয়ার অথবা এশিয়ানা এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব সিউল-ঢাকা-সিউল রুটে ফ্লাইট চালু করতে। আমাদের চেষ্টা থাকবে সরাসরি ফ্লাইটের, তবে বিকল্প হিসেবে আশপাশের কোন দেশে স্টপওভার দিয়ে হলেও ঢাকার পথে ফ্লাইট চালু করা যেতে পারে”।

সিউল-ঢাকা-সিউল রুটে বহুল প্রত্যাশিত ফ্লাইট চালুর বিষয়ে প্রয়োজনীয় গ্রাউন্ডওয়ার্ক চলছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত জুলফিকার রহমান। বাংলাদেশের উন্নয়নে দক্ষিণ কোরিয়ার সহায়তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কোরীয় অর্থায়নে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ হাজার বেডের নতুন আরেকটি অত্যাধুনিক হাসপাতালের কনস্ট্রাকশান কাজ অচিরেই শুরু হতে যাচ্ছে। বেশ আগেই চূড়ান্ত হওয়া এই প্রজেক্টের জন্য নির্মাণ প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে এখন। প্রসঙ্গত, সিউলে যোগ দেয়ার পরপরই গত ৭ জুলাই ২০১৫ রাষ্ট্রপতি ভবন ব্লু হাউজ (চোং ওয়া দে)-এ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক গুন হি’র নিকট পরিচয়পত্র পেশ করেন রাষ্ট্রদূত জুলফিকার রহমান। প্রবাসী বাংলাদেশীদের সুবিধার্থে ছুটির দিন রবিবারেও এখন দূতাবাস খোলা রেখে কনস্যুলার সেবাদান নিশ্চিত করেছেন তিনি।