জগন্নাথপুরে নববধূকে রেখে স্বামী উধাও!

Jogonnathpur mapসুরমা টাইমস ডেস্কঃ নাম জায়েদ মিয়া। বাড়ি ছাতক উপজেলায়। তিনি গত ১১ সেপ্টেম্বর বিয়ে করেছেন। বিয়ের পর তিনি প্রথম নববধুকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে বউকে রেখে উধাও হয়ে যান। হঠাৎ করে আত্মগোপনের যাওয়ায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এমন বিরল ঘটনা ঘটেছে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার ইসহাকপুর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক পৌর শহরের ফকিরটিলা এলাকার বাসিন্দা কাজী মো. লিলু মিয়ার ছেলে কাজী জায়েদ মিয়া গত ১১ সেপ্টেম্বর জগন্নাথপুর পৌর শহরের ইসহাকপুর গ্রামের তারা মিয়ার মেয়েকে ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী বিয়ে করেন। বিয়ের পর প্রথা অনুযায়ী গত ১৩ সেপ্টেম্বর কাজী জায়েদ মিয়া তার নববধূ ও আত্মীয়-স্বজন নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ফিরাযাত্রায় আসেন।
শ্বশুরবাড়ি আড়াই দিন থাকার পর ১৫ সেপ্টেম্বর কাজী জায়েদ মিয়া তার নববধূকে নিয়ে ছাতকে নিজ বাড়িতে যাওয়ার কথা থাকলেও ঐদিন হঠাৎ করে বর কাজী জায়েদ মিয়া শ্বশুরবাড়ি থেকে আত্মগোপনে চলে যান।
এ নিয়ে কনের বাড়িসহ পুরো গ্রামে শুরু হয় হৈচৈ। বরকে খুজতে শুরু করেন কনে পক্ষের লোকজন এমনকি গ্রামবাসীও। এক পর্যায়ে বিষয়টি স্বামীর বাড়ির লোকজনকে জানানো হলে উভয় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করেন। এছাড়াও কনে ও বরের পক্ষ মিলে ঐদিন রাতেই জগন্নাথপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এক পর্যায়ে বরের পিতা কাজী মো. লিলু মিয়া বাদি হয়ে গত বৃহস্পতিবার জগন্নাথপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে নববধূ ও তার বড় ভাই রিপন মিয়াকে ইসহাকপুরস্থ নিজ বাড়ি থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনা পুরো উপজেলায় জানাজানি হয়ে গেলে বৃহস্পতিবার রাতেই আত্মগোপনে থাকা বর কাজী জায়েদ মিয়াকে বিশ্বনাথ থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় স্থানীয়রা। এ সময় থানা পুলিশ ও গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে আত্মগোপনে থাকা কাজী জায়েদ মিয়া অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেন।
কনের বাবা তারা মিয়া জানান, পরিচিত এক ব্যক্তির মাধ্যমে হঠাৎ করে বিয়ে দেন তার মেয়েকে। বিয়ে দেয়ার আগে ছেলে ও তার পরিবার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি। কিন্তু এখন খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে ছেলেটি মানসিক রোগী।
বিষয়টি জানতে বরের বাবা মো. লিলু মিয়ার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার রাতে জগন্নাথপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আসাদুজ্জামান জানান, উদ্ধারকৃত ব্যক্তি শারীরিকভাবে অসুস্থ বলে মনে হচ্ছে। তাই তার কাছ থেকে সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। সঠিক তথ্য পাওয়া গেলে পরবর্তী আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়া হবে।