লাখো মানুষের চোখের জলে সমাহিত হলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী

mohsin aliসুরমা টাইমস ডেস্কঃ  ফুল আর চোখের জলে প্রিয় নেতা মহসিন আলীকে বিদায় জানালো মৌলভীবাজারবাসী। প্রিয় শহরের সাথে ৬৭ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে বাবা-মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী। বুধবার বিকেল ৫টা ৩ মিনিটে মৌলভীবাজার শহরের শাহ মোস্তফা মাজারে বাবা-মায়ের কবরের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে সমাহিত করা হয়। এরআগে বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজার নামাজ পড়ান মৌলভীবাজার টাউন সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুল কাইয়ুম সিদ্দিকী।
দুপুর সাড়ে ১২টায় মহসিন আলীর মরদেহ বহনকারী হেলিকপ্টারটি ঢাকা থেকে মৌলভীবাজার স্টেডিয়ামে অবতরণ করে। সেখানে অপেক্ষায় থাকা পরিবারের লোকজন মরদেহ গ্রহণ করেন। এরপর মরদেহ মহসিন আলীর নিজ বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় ছিলেন স্বজন-রাজনৈতিক সহকর্মীসহ অসংখ্য সাধারণ মানুষ। মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরই প্রিয় মানুষের মুখ একবার দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন সবাই। এসময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন অনেকে।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আসম ফিরোজ, হুইপ শাহাব উদ্দিন আহম্মদ, সাবেক চিফ হুইপ উপাধক্ষ আবদুস শহিদ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনসহ মৌলভীবাজার প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
এরপর দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মন্ত্রীর মরদেহ মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে রাখা হয়। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ ফুলেল শ্রদ্ধা জানায় এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে। শ্রদ্ধা জ্ঞাপনকালে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। বিকেল ৪টায় পুলিশ বাহীনির একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার শেষে জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
জানাযার নামাজের পূর্বে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণায়য়ের প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন, হুইপ মো. শাহাব উদ্দিন, সাবেক চিফ হুইপ আবদুস শহিদ, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ কেয়া চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন প্রমুখ। সিঙ্গাপুরে চিকৎসাধীন অবস্থায় ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে মৃত্যুবরণ করেন মহসিন আলী।