জবানবন্দী শেষে কারাগারে তিন আইনজীবী
সুরমা টাইমস ডেস্কঃ চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মামলায় জবানবন্দী শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তিন জনের পৃথক পৃথক সময়ের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। বুধবার চট্টগ্রাম জেলা আদালতে তারা এ জবানবন্দী দেন। তিন আইনজীবী সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ২৩ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন। তিনজনের জবানবন্দী রেকর্ড শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। জবানবন্দী রেকর্ড করেছেন চট্টগ্রাম জেলা আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম।
আদালতে তিন আইনজীবীই অভিন্ন কথা বলেছেন বলে জানা যায়। আসামিরা বলেন, মামলা পরিচালনার জন্যই তারা ঐ টাকা গুলো নিয়েছিল। পরে আবার তা মক্কেলের এ্যাকাউন্টে জমা দেয়া হয়। আর সেই ফেরত দেয়া টাকাকেই জঙ্গি অর্থায়ন ভাবছে র্যাব।
এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার বলেন, তিন আইনজীবী দোষ স্বীকার করেন নি। তারা বলেছেন টাকা নিয়েছেন মামলা পরিচালনার জন্য। পরে তা ফেরত দেন। এতে জঙ্গি অর্থায়ন প্রমাণিত হয় না। তবে রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলীরা বলছেন, যেহেতু ব্যারিষ্টার শাকিলা স্বীকার করেছেন তিনি হেফাজতের মামলা পরিচালনা করতেন তা থেকে বুঝা যায় তার সাথে জঙ্গিদের যোগাযোগ রয়েছে। অধিক তদন্তে বিস্তারিত বেরিয়ে আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
তিন আইনজীবীর জবানবন্দী নেয়ার পূর্বে সকাল নয়টায় তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর আসামিদের জবানবন্দী নেয়া হয়। প্রথমেই জবানবন্দী দেন ব্যারিষ্টার শাকিলা ফারজানা। এরপর এডভোকেট হাসানুজ্জামান লিটন ও এ্যাডভোকেট মাহফুজ চৌধুরী বাপন জবানবন্দী দেন।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারী হাটহাজারীর আল মাদরাসাতুল আবু বকর মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে আটক করে র্যাব। তখন র্যাব দাবি করে আটক সবাই জঙ্গি সংগঠন হামজা ব্রিগেডের সদস্য। পরে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করা হয়। মামলাটির তদন্তে রয়েছে র্যাব। এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে গত ২৪শে আগস্ট তাদের পৃথক পৃথক সময়ের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
এর আগে বাঁশখালির লটমনি পাহাড় থেকে অস্ত্র উদ্ধার হওয়ার ঘটনার মামলায় তাদের বাঁশখালির একটি আদালতে জবানবন্দী নেয়া হয়। সেখানে তারা জঙ্গি অর্থায়নের সাথে জড়িত নয় দাবি করে। পাশাপাশি র্যাব দাবি করছে তারা তিনজন চারধাপে জঙ্গিদের ১ কোটি ৮ লাখ টাকা জঙ্গিদের ব্যাংক এ্যাকাউন্টে প্রদান করেছে।