বালাগঞ্জের দয়ামীর-দেওয়ানবাজার সড়ক সংস্কার কাজ শেষ হতে না হতেই ভাঙ্গন
শাহ মো. হেলাল,বালাগঞ্জঃ সংস্কার কাজ শেষ হতে না হতেই দ্রুত ভেঙ্গে যাচ্ছে বালাগঞ্জের দয়ামীর-দেওয়ানবাজার সড়কটি। এতে শংকিত হয়ে পড়েছেন এলাকার জনসাধারণ। দীর্ঘদিন এ সড়ক ভাঙ্গণ ও ভাঙ্গন অংশে জলাবদ্ধতার কারণে প্রতিনিহত নানা দুর্ভোগ পোহানোর পর গত বছর সংস্কার কাজ শুরু হয় এবং চলতি বছর সংস্কার কাজ শেষ হয়।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও সিলেট-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়কের সংযোগকারী প্রায় ৭ কি.মি দৈর্ঘ্য এ গুরুত্বপূর্ন সড়কটি মোগলাবাজার, বালাগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা, ওসমানীনগর চারটি থানার শত শত মানুষের সহজ যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম। দীর্ঘ দিন ভাঙ্গন এর ফলে জনসাধারণের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহানোর পর গত বছর সংস্কার শুরু হয়। সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী ও তথকালীন ২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী’র প্রচেষ্টায় এবং বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে এ সড়কের কাজ শুরু হয়। প্রায় ২কোটি ১৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জে,আর এন্টার প্রাইজ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে এ সড়কের মেরামত কাজ দেওয়া হয়।
বিগত ২০১৪ সালের শেষের দিকে এ রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হয়। বর্তমানে কাজ শেষ হতে না হতেই সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাংঙ্গনের সুষ্টি হয়ে বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে কোথাও পিছ উঠে কংক্রিট খসে খসে পরে যাচ্ছে আবার কোথাও ফাটল ধরেছে। অভিযোগ রয়েছে, কর্তৃপক্ষ দায়সারা জন্য নিম্ন মানের উপকরণ ও বিটুমিন দিয়ে ভাঙ্গন স্থান মেরামত করে রেখেছে। যার ফলে ২/১ মাস যেতে না যেতেই বর্তমানে সড়কের ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, সড়কের ইছামতি অংশ থেকে আলি খাঁ পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। ফলে স্থানীয়রা সংকিত হয়ে পড়েছেন। তারা পূনরায় সড়কটির সংস্কারের দাবি জানান।
আলাপকালে স্থানীয় শিওরখাল গ্রামের আব্দুছ ছালিক, মাদ্রাসা বাজার অটোরিকসা শ্রমিক ইউনিয়নের ম্যানেজার সেবুল মিয়া, চালক ওলি মিয়া, ব্যবসায়ী নেছাওর আলী মেম্বার, এসএম আলমসহ এলাকার বেশ কয়েকজন জানান, দীর্ঘদিন এ সড়ক ভাঙ্গণ ও ভাঙ্গন অংশে জলাবদ্ধতার কারণে প্রতিনিহত নানা দুর্ভোগ পোহানোর পর ৪/৫ মাস আগে রাস্তাটির কাজ শুরু হয়। কিন্তু বর্তমানে কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে গেছে। কিছু দিন পর হয়তো আবার আগের মতো বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হবে। তাই তারা পুনরায় সড়কটির দ্রুত সংস্কারের দাবী জানান।
এ ব্যাপারে জে, আর এন্টার প্রাইজ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে সত্যাধিকারী রিয়াজ উদ্দিন বলেন, সড়কের নিচের কাজ দূর্বল থাকার কারনে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। মেঘ বৃষ্টি বন্ধ হলে আবার সংস্কার কাজ করা হবে।
বালাগঞ্জ উপজেলা এলজি আর ডি’র প্রকৌশলী মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে কন্টাকদারকে বলা হয়েছে। বৃষ্টি কমলেই রিপ্রিয়ারিং কাজটা শুরু হবে।