কমলগঞ্জের ধলাই নদীর বাঁধে ২টি ভাঙ্গন ॥ হুমকির মুখে ২২টি গ্রাম

Pic--Doloi Nodi--Guramaraবিশ্বজিৎ রায়, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:
গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে ও উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানির স্্েরাতের আঘাতে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ঘোড়ামারা (নাজাতকোনা) ও হীরামতি নামক স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে প্রায় ২২ টি গ্রাম। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে যে কোন মুহুর্তে বাড়িঘর ও ফসলী জমি তলিয়ে যেতে পারে। আতংকের মধ্যে রাত যাপন করছেন নদীর পারের লোকজন।
গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে ও উজান থেকে নেমে আসা ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানির স্্েরাতে কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের ঘোড়ামারা (নাজাতকোনা) ও মাধবপুর ইউনিয়নের হীরামতি গ্রাম এলাকায় ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধে নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দেয়। ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধের নতুন দুটি ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় আতংকিত হয়ে পড়ছেন এলাকার লোকজন। এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী কিরণ চন্দ্র দেবনাথ ও স্থানীয় আদমপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাব্বির আহমদ ভূঁইয়া ঘোড়ামারা গ্রামে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেছেন। কমলঞ্জে থানা সংলগ্ন ধলাই নদীর উপর পুরাতন সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তাছাড়া ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ঘোড়ামারা গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য মকবুল হোসেন, কৃষক আং ওয়াহিদ, শাহাজ উদ্দিন, প্রবাসী আব্দুর রশীদ, সিরাজুল ইসলাম জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলাতির ও নিন্মমানের কাজের ফলে এই ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাব্বির আহমদ ভূঁইয়া বলেন, বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে যে কোন মুহুর্তে ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙ্গন দেখা দিয়ে আদমপুর ও ইসলামপুর ইউনিয়নের ২০/২৫টি গ্রাম তলিয়ে যেতে পারে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ অত্যন্ত নিন্মমানের হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে পাথরের ব্লক দিয়ে প্রতিরক্ষা বাঁধ মেরামতের দাবী জানান।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, মৌলভীবাজার এর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুর রব বলেন, বাজেট না থাকায় ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধের কাজ করা যাচ্ছে না। তবে সরেজমিন পরিদর্শন করে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।