রাজন হত্যা মামলার বিচার বিলম্বিত হবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিশ্বজিৎ রায়, কমলগঞ্জ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ এখন আর আগের মতো নেই। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে একটি উন্নয়নশালী, সমৃদ্ধশালী ও মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তরিত হচ্ছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেক অনেক ভালো। জনগণ স্বস্থিতে আছেন। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে জনবল সংকট। তাই বর্তমান সরকার আরও ৫০ হাজার পুলিশ নিয়োগ করবে। সিলেটের রাজন হত্যা মামলার বিচার বিলম্বিত হবে না। দ্রুত বিচার আইনে এ মামলাটি নিষ্পত্তি করা হবে। শিশু রাজনের কোন খুনির রা হবে না। রাজনের খুনিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য পর্যাপ্ত যানবাহন দেয়া হবে। বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকারের কোন পদক্ষেপ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইনী প্রক্রিয়ায় সব ব্যবস্থা নেয়া হবে। সমাজকল্যাণমন্ত্রী পুলিশের সমালোচনা করেছেন এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিবেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবারের মন্ত্রী বলেন, এটা তাঁর বিষয়। দুই দেশের আইনী প্রক্রিয়া শেষে সৌদি আরব থেকে সিলেটের চাঞ্চল্যকর রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামী কামরুল ইসলাম ও দীর্ঘ নিখোঁজের পর ভারতের মেঘালয়ে আটক বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদকে বাংলাদেশে আনা হবে। দেশে ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নসহ আইন শৃঙ্খলা উন্নয়নে জনবল বাড়াতে পুলিশ বিভাগে আরো ৫০ হ্াজার লোক নিয়োগ করা হবে। বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান স্মৃতি সৌধ ও কমপ্লেক্সের উন্নয়নে ও পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে স্থানীয় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহায়তায় প্রয়োজনীয় উন্নয়ন বিজিবি সদস্যরা করবেন। বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) দুপুর ১২টায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী ধলই চা বাগানে বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমানের স্মৃতি সৌধ পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরকালে এ কথাগুলো বলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নবনিযুক্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি।
দুই দিনের মৌলভীবাজার ভ্রমনের অংশ হিসাবে বৃহস্পতিবার দুপুরে কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই চা বাগানে বীর শ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ পরিদর্শণ করে পুষ্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পুষ্পস্তবক প্রদান শেষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর স্থাপিত একটি দোতলা চৌকিতে উঠে ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের সীমান্ত রেখা অবলোকন করেন। বিজিবি কর্মকর্তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে ১৯৭১ সালের ২৮ অক্টোবর এ সীমান্তে যেখানে মরণপণ লড়াই করে বীর শ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান শাহাদৎ বরণ করেছিলেন সেই স্থানগুলো দেখান। এসময় বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আব্দুল আজিজ, শ্রীমঙ্গল বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল তারিকুল ইসলাম, বিজিবি ৪৬ ব্যাটেলিয়ন কমান্ডার লে: কর্নেল নাছির উদ্দিন, মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো: শাহ জালাল, কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক রফিকুর রহমান, কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এম, মোসাদ্দেক আহমেদ মানিক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. সিদ্দেক আলী ও কমলগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মোমিন তরফদারসহ বিভিন্ন বিভাগীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বৃহষ্পতিবার সকাল সোয়া ১১টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কমলগঞ্জ পৌরসভার ভানুগাছ চৌমুহনী চত্বরে পৌঁছলে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. সানোয়ার হোসেন এর সঞ্চালনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য, কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের প থেকে তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এম, মোসাদ্দেক আহমেদ মানিক, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. সিদ্দেক আলী, রহিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ বদরুল, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোশাহীদ আলী, পৌর যুবলীগ সভাপতি মো. জুয়েল আহমদ, মাধবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি আসিদ আলী, সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মী নারায়ণ সিংহ সহ বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।