কুলাউড়ার ৭ ইউনিয়নে ভোট যুদ্ধে ৬ প্রবাসী প্রার্থী

Kulaura Probashi (1)বিশ্বজিৎ রায়, কমলগঞ্জ প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টি ইউনিয়নে ৩য় দফায় সারাদেশের সাথে ২৩ এপ্রিল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৩ ইউনিয়নে মোট ৩৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে ৬ জন প্রবাসী প্রার্থী লড়ছেন ভোট যুদ্ধে। উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের বিএনপি’র প্রার্থী হাবিবুর রহমান ছালাম ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিম আহমদ দু’জনই কানাডা প্রবাসী। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ছালিক আহমদ নিলয় দুবাই প্রবাসী। রাউৎগাঁও ইউনিয়নের বিএনপি’র চেয়ারম্যান প্রার্থী কুলাউড়া ডিগ্রী কলেজের সাবেক ভিপি আব্দুল মোহিত সোহেল ইংল্যান্ড প্রবাসী। জয়চন্ডী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আল-ইসলাহ্ প্রার্থী আব্দুল জলিল কাতার প্রবাসী। এছাড়া ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন এলাইচ সৌদি আরব প্রবাসী। এসব প্রবাসীরা প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়নে ভোটের লড়াইয়ে নতুন রং ছড়াচ্ছে। সাধারণ ভোটররা চেয়ে আছে এসব প্রবাসী প্রার্থীদের হাতের দিকে। তাছাড়া কর্মী সমর্থকরাও এসব প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করে কিছু বাড়তি আয় রোজগার করছেন। কাদিপুর ইউনিয়নের বিএনপি’র প্রার্থী হাবিবুর রহমান ছালাম গত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনেও প্রার্থী ছিলেন। সামান্য ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। বিগত নির্বাচনে বিজয়ী এ কে এম সফি আহমদ সলমান পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন। ফলে তিনি ইউনিয়নে এবার প্রার্থী হননি। তাছাড়া এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ তাদের ত্যাগী নেতাদের অবমুল্যায়ন করে আরেক কানাডা প্রবাসী ও মনোনয়ন জমাদানের একমাস আগে দেশে আসা সেলিম আহমদকে দলের প্রার্থী করে। ফলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ। তারা কোনভাবেই সেলিম আহমদকে মেনে নিতে পারছে না। দলের কোন নেতাকর্মীকে পাশে না পেয়ে হতাশ সেলিম আহমদও। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিএনপির কানাডা প্রবাসী হাবিবুর রহমান ছালাম এবার চমক দেখাবেন এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়। এদিকে রাউৎগাঁও ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী ইংল্যান্ড প্রবাসী ও কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভিপি আব্দুল মোহিত সোহেল বিগত নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। এবার ধানের শীষ প্রতিকে লড়বেন। তবে তার পথের কাঁটা দলের বিদ্রোহীর প্রার্থী আরেক বিএনপি নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জামাল। তবে এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আকবর আলী সোহাগের এলাকায় খুব একটা গ্রহণযোগ্যতা নেই। ফলে মূল লড়াইয়ে বিএনপি বনাম বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে বলে ভোটাররা জানান। অন্যান্য ইউনিয়নে প্রবাসী প্রার্থীরা নিজেদের অস্তিত্বের সাথে লড়াই করতে হবে। তারা কতটা ভোট পান সেটাই দেখার বিষয়। সাধারণ ভোটারদের মতে, প্রবাসী এসব প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় লড়াই জমজমাট হবে।