সিলেটে এক নারীর গর্ভে ছয় শিশু : বাঁচানো গেলো না একটিকেও

Six Infantসুরমা টাইমস রিপোর্টঃ সিলেট ওসমানী হাসপাতালে একসাথে একই মায়ের গর্ভে জন্ম নেওয়া ছয় শিশুর একজনকেও বাঁচানো গেলো না। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত বিভিণ্ন সময়ে ৬ শিশুই মারা যায়। এরআগে মঙ্গলবার দুপুরে ওসমানী হাসপাতালে একসাথে ৬ শিশুর জন্ম দেন হাছনা বেগম। জন্ম নেয়া এই ৬ শিশুদের মধ্যে ৪টি মেয়ে সন্তান ও ২টি ছেলে সন্তান ছিল।
ওসমানী হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জন্ম নেওয়া ৬ শিশুর মধ্যে ২ ছেলে ও এক মেয়ে মারা মারা যায় মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে। এরপর রাতেই পর্যায়ক্রমে বাকি ৩ শিশুও মারা যায়। ওসমানী হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. আব্দুস সালাম জানান, এই ছয় শিশুই অপরিপক্ক অবস্থায় জন্ম নেয়। ফলে তাদের বাঁচানোর কোনো উপায় ছিলো না।
তিনি বলেন, ২৬ সপ্তাহ মাতৃগর্ভে থাকার পরই শিশুগুলো ভূমিষ্ট হয়েছিল। তাই তারা নানা জটিলতায় ভূগছিল। তিনি বলেন, শিশুগুলোর ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম ছিল। সাধারণত ১ কেজি ৫০ গ্রাম ওজনের কম ওজনের শিশুদের ‘লো বার্থ ওয়েট’ শিশু বলা হয়। কিন্তু এ শিশুদের ওজন ৭০০ গ্রামেরও কম ছিলো। নবজাতকের ওজন এক কেজির কম হলে তাদের বাঁচানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। এদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গও ভালোভাবে গড়ে উঠেনি। প্রসুতিজনিত সমস্যার কারনেই শিশুগুলো মারা গেছে।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হোছনা বেগম নামের এক মায়ের গর্ভে অস্ত্রোপাচার ছাড়াই এই শিশুদের জন্ম হয়। তিনি সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জের বাসিন্দা। তার স্বামীর নাম জামাল উদ্দিন দুবাই প্রবাসী।