নৈশকোচের যাত্রীকে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে পুলিশের টাকা ছিনতাই

51111সুরমা টাইমস ডেস্কঃ গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে নৈশকোচের এক যাত্রীর কাছ থেকে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে কুমারখালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাফী’র বিরুদ্ধে।
উপজেলার শিলাইদহ বেলগাছি গ্রামের আমির ব্যাপারীর ছেলে সিরামিক ব্যবসায়ী উজ্জল (২৫) এ বিষয়ে থানায় ডায়েরী করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম’র সাথে দেখা করে অভিযোগ করেছেন।
উজ্জল জানান, গত সোমবার ঢাকা থেকে সৌহার্দ পরিবহনে রাত ১২টার সময় কুমারখলী স্ট্যান্ডে নেমে সেখানে তার জন্য অপেক্ষারত ছোট ভাই আজিজুরের (২৩) মটর বাইকযোগে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। তাদের বাইকটি উপজেলার আলাউদ্দিন নগর মোড় নামকস্থানে পৌঁছুলে সেখানে পেট্রল ডিউটিরত কুমারখালী থানার এসআই কাফী সংগীয় ফোর্সসহ তল্লাশির নামে পথরোধ করেন।
এসময় পুলিশ মাদক ব্যবসায়ী অভিযোগ তুলে থানায় নেয়ার উদ্দেশ্যে কিছু দুর গিয়ে বোর্ড অফিসের নিকট এক অন্ধকারে পিকআপ থামিয়ে ব্যাগটি ছিনিয়ে নেন । ঐ পুলিশ সদস্য দুই ভাইকে বেদম মারধর শুরু করে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরিস্থিতিতে ভীত হয়ে শেষ পর্যন্ত ঐ এসআই কাফী’কে নিজের কাছে থাকা ব্যবসায়ের টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা বের করে দেয়। টাকাটা হাতে নিয়েই এসআই কাফী অস্ত্র বুকে ধরে বলেন সোজা বাড়ি চলে যাবি; এসব কথা কাউকে বলবি না, তাহলে ক্রসফায়ার দিয়ে মারা হবে তোকে। ব্যবসায়ী উজ্জল বলেন, পরদিন অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি শিলাইদহ ইউপি চেয়ারম্যান তারেককে জানালে তিনি থানায় গিয়ে ডায়েরী করার পরামর্শ দেন, সেই মতে আমি থানায় গিয়ে বিষয় উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরী করতে চাইলে থানা থেকে আমাকে বের করে দেয়া হয়। উপায়ান্তর না পেয়ে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম’র দপ্তরে দেখা করেন। তিনি ঘটনার বিবরণ শুনে এবিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।
উপজেলার শিলাইদহ ইউপি চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন খান তারেক জানান, মঙ্গলবার সকালে ব্যবসায়ী উজ্জল’র কাছে ঘটনার বিবরণ শুনে তাকে সাধারণ ডায়েরী অথবা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, উজ্জল একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। ঢাকা থেকে সিরামিকস’র মালামাল এনে বিভিন্ন দোকানে বিক্রয় করেন। জানা মতে সে মাদক সেবন বা কোন অপরাধে জড়িত নয়।
কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মহিবুল ইসলাম অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিষয়টির মিমাংসার জন্য সবাইকে ডেকেছি। যেই দোষী হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম জানান, কুমারখালীর বেলগাছি গ্রামের উজ্জল নামের ছেলেটি তার দপ্তরে এসেছিলেন। ঘটনার বিবরণ শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত এসআই কাফী’র সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কোন কথা বলার নেই, উর্দ্ধতন কর্মকর্তা যা বলবেন সেটাই আমার বক্তব্য।