গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে আমেরিকা জুড়ে বিক্ষোভ

ফিলিস্তিনীদের উপর ইসরাইলিদের বর্বরোচিত হামলা প্রতিবাদে নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের টাইমস স্কোয়ারে বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি- এনা।
ফিলিস্তিনীদের উপর ইসরাইলিদের বর্বরোচিত হামলা প্রতিবাদে নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের টাইমস স্কোয়ারে বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি- এনা।

নিউইয়র্ক থেকে এনা: ফিলিস্তিনীদের উপর ইসরাইলিদের বর্বরোচিত ও নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে আমেরিকার বড় বড় সিটিতে গত ২৫ জুলাই বিকেলে (নিউইয়র্ক সময়) বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ছাড়া আমেরিকার বড় বড় মসজিদে বাদ জুমা ফিলিস্তনীদের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। গত ২৫ জুলাই জুমাতুল বিদা হবার কারণে প্রতিটি মসজিদেই ছিলো মুসল্লীদের ভীড়। এ দিকে ফিলিস্তনীদের উপর অমানবিক অত্যাচার, আগ্রাসন এবং জীবন কেড়ে নেয়ার প্রতিবাদে আমেরিকায় বসবাসরত মুসলমানদের বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে আমেরিকার বড় বড় সিটিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সব বিক্ষোভ সমাবেশে মুসলমানরা ছাড়াও, বিভিন্ন মানবাধিার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও আমেরিকানরা অংশগ্রহণ করেন এবং ইসরাইলি হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইসরাইল এখন একটি আগ্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। এই সন্ত্রসী রাষ্ট্রের উপর নিষেদ্ধজ্ঞা জারি করতে হবে। যেভাবে ইসরাইলি সৈন্যরা গাজায় নারী এবং শিশুদের হত্যা করছে এটা কোন সভ্য দেশে ও সমাজে চলতে পারে না। বিনা অপরাধে ইসরাইলিরা ইতিমধ্যেই গত ১৮ দিনে প্রায় ৮৩৬ জনের মত ফিলিস্তিনীকে হত্যা করেছে। তারা বলেন, নিজে দেশ জন্ম নিয়েও ফিলিস্তিনীরা আজকে নির্বাসিত। তাদের যেন কোন স্বাধীনতা নেই। যখন ইচ্ছে তখনই ইসরাইল তাদের উপর হামলে পড়ে। ফিলিস্তিনীদের উপর ইসরাইলীদের এই নগ্ন হামলা নতুন কোন বিষয় নয়। ইসরাইল তাদের স্বার্থেই ফিলিস্তিনীদের উপর বছরের পর বছর হামলা চালাচ্ছে। তারা ইসলাইলি আগ্রাসনের স্থায়ী সমাধান কামনা করেন। সেই জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, ইসরাইলের উপর অবরোধ আরোপ করা উচিত এবং ইসরাইলকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা করা উচিত। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা আমেরিকাসহ অন্যান্য রাষ্ট্রের নীরবতা এবং ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই বিক্ষোভ সমাবেশে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশীও অংশগ্রহণ করেন।
নিউইয়র্ক সিটির টাইমস স্কোয়ার ছাড়াও আটলান্টা, ফ্লোরিডা, আটলান্টিক সিটি, লসএ্যাঞ্জেলেস, ওয়াশিংটনসহ অন্যান্য সিটিকে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।