এরশাদ তার চাটুকারদের নিয়ে রাজনীতি দূষিত করেছে

Ershadগোলাম মোতোর্জাঃ ” আমরা কথায় কথায় বলি, আমাদের প্রধানমন্ত্রী নারী, স্পিকার নারী, সংসদ উপনেতা নারী; বিরোধীদলীয় নেত্রী নারী; কিন্তু এরা সবাই শোপিস। ”
লেজেহোমো এরশাদ মানুষ রূপী এই প্রাণীটিকে প্রখ্যাত শিল্পী কামরুল হাসান চিত্রিত করেছিলেন ‘বিশ্ব বেহায়া ‘ নামে । সারা দেশের মানুষ তা গ্রহণ করেছিলেন। এরশাদ যাদের এমপি, মন্ত্রী বানিয়েছিলেন তারা ছিলেন চাটুকার শ্রেণীর চরিত্রহীন রাজনীতিক। এই চাটুকাররা ‘বিশ্ব বেহায়া ‘ র মাঝে নিজেদের চেহারা দেখতে পান। আমাদের ছাত্র জীবনের একটা গুরত্বপূর্ণ সময় কেটেছে বিশ্ব বেহায়াদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে। বিশ্ব বেহায়ার পতনের পর তার চাটুকারা কেউ যোগ দিয়েছে বিএনপিতে। কেউ কেউ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে, প্রকৃত আওয়ামী লীগারদের চেয়ে বড় আওয়ামী লীগার সেজেছে। কিন্তু স্বভাব চরিত্র বদল হয়নি বিশ্ব বেহায়া -চাটুকারদের।
বিশ্ব বেহায়া এরশাদ এখন নারীদেরকে বলেন ‘শোপিস ‘।অথচ এর বিরুদ্ধে জোড়ালো প্রতিবাদ হয় না। আসলে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী বিশ্ব বেহায়া এরশাদ ও তার চাটুকারদের পূনর্বাসনের সুযোগ দিয়ে দেশের রাজনীতির বড় রকমের ক্ষতি করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের পূনর্বাসন করায় যেমন দেশের রাজনীতি কলুষিত হয়েছে, তেমন তিন জোটের রূপরেখা না মেনে বিশ্ব বেহায়া এরশাদ ও তার চাটুকারদের দলে (বিএনপি -আওয়ামী লীগ) নিয়ে দেশের রাজনীতি দূষিত করেছে।
সেই দূষণের সুযোগ নিয়েই এরশাদ আজ নারী সমাজকে অসম্মান করে, তার পতনের প্রতিশোধ নিচ্ছে। আর বড় দুই দলে আশ্রয় পাওয়া চাটুকাররা মুচকি মুচকি হাসছে। ফেসবুক থেকে