জল্লারপাড়ে অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে ছড়া উদ্ধার করলো সিসিক

SCCসুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেট নগরী দিয়ে বহমান জল্লারপাড় ছড়ার উপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নেমেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। মঙ্গলবার বেলা ১২ টা থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়।
অভিযানকালে জল্লারপাড়রোডের মূলসড়কের পাশঘেষে ছড়ার জায়গায় গড়ে তোলা একটি দোকানের (মাদানী ইলেকট্রনিক্স) একাংশ ভেঙে ছড়ার জায়গা দখলমুক্ত করা হয়। ১৩ ফুট প্রশস্ত এই ছড়ার উপর ৫ ফুট প্রশস্থ এবং ২৫ ফুট দৈর্ঘের অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছিল।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীবের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) নুর আজিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর, জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্টেট জিয়াউল ইসলাম, সংরক্ষিত ১ আসনের মহিলা আসনের কাউন্সিলর কোহিনুর ইয়াসমিন ঝর্ণা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব জানান, ‘২০০৭ সালে এই অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়েছিল। পরবর্তীতে তারা আবারও ছড়ার উপর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেন। তাদেরকে ছড়া দখলমুক্ত করার জন্য একাধিকবার নোটিশ দেওয়ার পরও তারা ছড়া দখলমুক্ত করেননি।’
এই অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব বলেন,‘বর্ষাকালে যাতে নগরীতে জলাবদ্ধতা না হয় সেজন্য ছড়ার উপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। জল্লারপাড় ছড়া থেকে তালতলা হয়ে সুরমা নদী পর্যন্ত এই ছড়ার দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।’ যারা ছড়ার উপর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছেন তাদেরকে কোন ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান এনামুল হাবীব।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) নুর আজিজুর রহমান জানান, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ছোটবড় ছড়া আছে ২৫টি, যার সর্বমোট দৈর্ঘ্য প্রায় ১শ কিলোমিটার। এসব ছড়ার উপর ১০৫৯টি (এক হাজার উনষাট) অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব অবৈধ স্থাপনা সরানোর জন্য সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের বারবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
নোটিশ দেওয়ার পরও যারা অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেননি তাদের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে অভিযান চালানো হবে। জল্লারপাড় ছড়া দখলমুক্ত করার পর নগরী দিয়ে প্রবাহমান অন্যতম বৃহত মালনীছড়ার উপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলেও জানান নুর আজিজুর রহমান।
উল্লেখ্য, জিন্দাবাজার-কাজি ইলিয়াস-দাড়িয়াপাড়া দিয়ে প্রবাহমান ছড়াটি জল্লারপাড় ছড়ায় এসে সংযুক্ত হয়েছে এবং পরর্তীতে জল্লারপাড় ছড়াটি তালতলাতে গিয়ে বলরামের খালের সাথে সংযুক্ত হয়ে সুরমা নদীতে মিশেছে।