নবীগঞ্জের মুতাজিলপুর প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি: নবীগঞ্জ উপজেলার মুতাজিলপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তির টাকা প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার উপবৃত্তির টাকা বিতরণ কালে।
জানাযায়, সরকার প্রতি মাসে গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরনের জন্য শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দিয়ে আসছে। প্রতি ৬ মাস পর পর মাসে জনপ্রতি ১ শত টাকা হারে প্রদান করা হয়। ৬ মাসের উপবৃত্তি একসাথে ৬ শত টাকা করে শিক্ষার্থীরা পাওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার সকালে মুতাজিলপুর সরকারী প্রাইমারী স্কুলের ৭০ জন উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে টাকা বিতরণ কালে কাউকে সাড়ে ৩ থেকে ৪ শত, আবার কাউকে ৫ শত টাকা করে দেয়া হয়েছে। উক্ত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানতে পারেন প্রতিবেশী স্কুলের শিক্ষার্থীরা জনপ্রতি ৬ মাসে ৬ শত টাকা করে বৃত্তি পেয়েছেন। এ খবর পেয়ে তারা ছুটে যান মুতাজিলপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক কাজী মহিবুর রহমান ও ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের আত্মীয় আব্দুর রহিমের নিকট। তারা ভাবকদের সন্তোষ জনক কোন জবাব দিতে না পারায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ সময় শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি কয়ক’জনকে অবশিষ্ট ১ শত টাকা করে ফেরৎ দিলেও অনেকের টাকা ফেরৎ দেয়া হয়নি। এতে প্রায় ৮/১০ হাজার টাকা আত্মসাত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা। এ ব্যাপারে প্রদান শিক্ষক মহিবুর রহমান এ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন শিক্ষা অফিস থেকে ৩ হাজার টাকা কম দেয়া হয়েছে। ফলে ৩০ জন শিক্ষার্থীদের ১ শত টাকা করে কম দিতে হয়েছে। এ ব্যাপারে ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র জিলন মিয়ার মাতা জায়েদা বেগম জানান, তারা ছেলেকে ৬ শত টাকার স্থলে ৫ শত টাকা দেয়া হয়েছে। একই অভিযোগ করেছেন একই স্কুলের ২য় শ্রেণীর ছাত্র আব্দুস ছামাদ ও ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী রোকসানা বেগমের পিতা আব্দুল মালিক জানান, তার দু’ ছেলে-মেয়েকে ১২ শত টাকার পরিবর্তে দেয়া হয়েছে ৭ শত টাকা। ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী স্বপ্না বেগমের পিতা আব্দুল হাবিব জানান তার মেয়েকে দেয়া হয়েছে ৪ শত টাকা। তাদের প্রত্যেকেরই অভিযোগ ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম প্রধান শিক্ষকের আত্মীয় হওয়ার সুবাধে উপবৃত্তির টাকা গুলো কৌশল করে শিক্ষার্থীদের কম দিয়ে বাকী টাকা আত্মসাত করেন।