ইনাতগঞ্জ জামে মসজিদ’র নাম করণ নিয়ে জটিলতা

 এলাকায় চরম উত্তেজনা : প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ এলাকায় একটি মসজিদের নাম করণ নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে ফুসে উঠতে পারে এলাকাবাসী। এতে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংখ্যা করছেন স্থানীয় লোকজন। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করে কোন সুফল আসেনি।

এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, ১৩১৭ বাংলায় উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের মুনসুরপুর গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বী ওয়াহাব উল্লার মালিকানা ভুমির উপর একই গ্রামের ছোরাব উল্লা, আব্দুর নুর(গেদা মিয়া), বাউরকাপন গ্রামের হুসমান উল্লা, জাবিদ উল্লা, বানিউন গ্রামের হাজী আছকর উল্লাগংরা ইনাতগঞ্জ বাজার জামে মসজিদ নামে একটি মসজিদ প্রতিষ্টিত করেন। পরবর্তীতে মসজিদের স্থান সংকোলান না হওয়ায় মরহুম ওয়াহাব উল্লার ছেলে মরহুম ইব্রাহিম উল্লা ১৯৮৯ইং সনে ৩৩ নং দলিল মুলে আরো ১৮ শতক ভুমি ওয়ার্কফ করেন। এক পর্যায়ে উক্ত মসজিদটি পুর্ণ নির্মানের উদ্যোগ নিলে বক্তারপুর গ্রামের লন্ডন প্রবাসী ছালেহা বিবিসহ বিভিন্ন প্রবাসীরা মিলে মসজিদের নতুন ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু আকর্ষিক ভাবে ভুমিদাতাদের ফাস কাটিয়ে মসজিদ পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে দাতা ও স্থানীয় মুসল্লীদের সংশ্লিষ্টতা না থাকায় এই অবৈধ কমিটি ও বিশেষ মহলের ইন্দনে কতিপয় কিছু লোক ওই মসজিদের ইনাতগঞ্জ জামে মসজিদ নাম পরিবর্তন করে ছালেহা বিবি নাম সংযোজন করলে এলাকায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে দাতা পরিবারের সদস্য মোশাহিদ আলী অবৈধ কমিটির সদস্যদের উপর ২০০৬ইং সনে জিআর ৩/০৬ (নবী) মামলা দায়ের করলে স্থানীয় লোকজন আপোষের উদ্যোগ নেয়। এক পর্যায়ে ইনাতগঞ্জ জামে মসজিদের দাতা এবং দানকারী ও ভুমি দানকারী সকলের মুল্যায়নে যথাযথা ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়ে বিরোধটি ণিঃস্পত্তি করে মামলা প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু আপোষে মামলা প্রত্যাহারের কিছুদিন পরই শর্ত লঙ্গন করে ইনাতগঞ্জ ছালেহা বিবি মসজিদ নামে ব্যবহার করার অপচেষ্টা করলে পুণরায় মোশাহিদ আলীর ভাই আশাহিদ আলী আশা নবীগঞ্জ থানায় একটি দরকাস্থ দিলে তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ ইনাতগঞ্জ ফাড়ি পুলিশের নিকট তদন্তের জন্য প্রেরন করেন। এক পর্যায়ে ইনাতগঞ্জ পুলিশ বিষয়টি আপোষে সমাধানের জন্য সাবেক চেয়ারম্যান মাসুদ আহমদ জিহাদীর ন্যস্ত করলে তার বিগত ২০১৪ইং সালের ৮ই আগষ্ট মসজিদ প্রাঙ্গনে সকল মুসল্লীদের উপস্থিতিতে একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন এবং পরবর্তীতে সকলের সম্বনয়ে নাম করনের বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগ নেন। কিন্তু অবৈধ কমিটির লোকজন মসজিদের আয় ব্যয়ের হিসাব নিকাশে গড়মিল থাকায় আহ্বায়ক কমিটি না মেনে পুণরায় ষড়যন্ত্র শুরু করে। এনিয়ে আবারও উত্তোপ্ত হয়ে উঠে ইনাতগঞ্জের জনপদ। নাম করণের জটিলতা নিরসনের জন্য মসজিদের ভুমি দাতা পরিবারের সদস্য আশাহিদ আলী আশা এবং এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ( স্থানীয় সংসদ সদস্যের সুপারিশসহ) এবং উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবরে ২০১৪ইং সনের ভিন্ন ভিন্ন তারিখে আবেদন করেও কোন ফল না পাওয়ায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলকাবাসী অনতিবিলম্বে ইনাতগঞ্জ জামে মসজিদের নাম করনের জটিলতা নিরসনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহন করে এলাকার শান্তিশৃংখলা রক্ষার দাবী জানান। অন্যতায় যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংখ্যা করছেন স্থানীয়রা।