বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়

liton4সুরমা টাইমস ডেস্কঃ ভারতকে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৬ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২-০ তে জিতে নিল লাল সবুজের বাংলাদেশ। জয়ের জন্য ২০০ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে ৯ ওভার ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টাইগাররা।
tamim5বাংলাদেশের হয়ে সাকিব আল হাসান ৫১ ও সাব্বির রহমান ২২ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া লিটন দাস ৩৬, সৌম্য সরকার ৩৪ ও মুশফিক করেন ৩১ রান।
২০০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা আক্রমণাত্মকই ছিল তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারের। তবে ৩৪ রানেই ভেঙ্গেছে প্রথম জুটি। মাত্র ১৩ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন তামিম ইকবাল। কুলকার্নির বলে ধাওয়ানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তামিম।
tamim-soumyaতবে শুরুতে তামিমকে হারিয়েও পথ হারায়নি বদলে যাওয়া যাওয়া বাংলাদেশ। দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্য সরকার ও লিটন দাসের মধ্যকার ৫২ রানের জুটিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় টাইগাররা। দলীয় ৮৬ রানে অশ্বিনের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার।
সৌম্য সরকারের বিদায়ের একটু পর সাজঘরের পথ ধরের লিটনও। অক্ষর প্যটেলের বলে উইকেটের পেছনে ধোনিকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে টাইগাররা।
৯৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়া বাংলাদেশকে চাপমুক্ত করেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। এই দুজনের দুর্দান্ত জুটিতে ধীরে ধীরে ম্যাচ ও সিরিজ জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছিল টাইগাররা। তবে দলীয় ১৫২ রানের মাথায় মুশফিক রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলে ছোট একটা ধাক্কা খায় টাইগার শিবির। দ্বিতীয় রানের জন্য ছুটতে গিয়ে রান আউটের ফাঁদে পড়েন মুশফিক। তবে আউট হওয়ার আগে ৩৪ বলে ৩১ রানে দারুণ এক ইনিংস উপহার দেন তিনি।

মাঠে বসে খেলা দেখছেন পেসার রুবেলের সাবেক বান্ধবী হ্যাপী (মাথায় স্কার্ফ পরা)
মাঠে বসে খেলা দেখছেন পেসার রুবেলের সাবেক বান্ধবী হ্যাপী (মাথায় স্কার্ফ পরা)

দলীয় ১৫২ রানে মুশফিকের পতনের পর সাকিব ও সাব্বির মিলে ৪৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন।
রোববার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে আগে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। তবে টস জয়ের সুবিধা ভালোমতো নিতে পারেনি তিনি। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচ ৪৭ ওভারে নেমে আসে। এর মধ্যে ৪৫ ওভারে ২০০ রানে অল আউট হয় ভারত। বল হাতে আগুন ঝড়ান বাংলাদেশের তরুণ পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি একাই নেন রেকর্ড গড়া ৬টি উইকেট। নাসির ও রুবেল নেন দুটি করে উইকেট।
ভারতের হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন ওপেনার শিখর ধাওয়ান। এছাড়া ধোনি ৪৭, রায়না ৩৪, কোহলি ২৩, জাদেজা ১৯ রান করেন।
বাংলাদেশের টার্গেট আপাতদৃষ্টিতে ২০১ রান হলেও, বৃষ্টি আইনে তা এক রান পিছিয়ে এসেছে। অর্থাৎ জয় পেতে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ২০০ রানই।