শায়েস্তাগঞ্জে ১০ গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত শতাধিক, ট্রেন আটকে ভাংচুর

shayestagonj fightহবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতাঃ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার জংশন এলাকায় পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে ১০ গ্রামবাসীর সংঘর্ষে শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। বুধবার দুপুরে টানা ৩ ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে প্লাটফর্মসহ জংশন এলাকার কয়েকটি দোকানপাট ভাংচুর করা হয়। এসময় স্টেশনে আন্তঃনগর পাহাড়িকা ট্রেন আটকা পড়ে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিকেলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত সোমবার রাতে পৌরসভার পূর্ব লেঞ্জাপাড়ার জাহির মিয়া ও পূর্ব বড়চরের জুনাইদ মিয়ার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাদের পক্ষের লোকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে বিষয়টি স্থানীয়রা মিটমাট করে দেন। এর জের ধরে বুধবার দুপুরে পূর্ব লেঞ্জাপাড়ার লোকজন বড়চর এলাকায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়।
এসময় বড়চরের লোকজন এগিয়ে এলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে পূর্বলেঞ্জাপাড়ার পক্ষে বিরামচর, পশ্চিম লেঞ্জাপাড়া, উবাহাটা, জগন্নাথপুর, মহলুলসুনাম, দাউদনগর এবং পূর্ব বড়চরের পক্ষে তালুগড়াই, নিজগাঁও, নুরপুর, মড়রা, নিশাপট, কদমতলী গ্রামের কয়েক হাজার লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসমং জংশন এলাকা ও দোকানপাটে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বাবুল মিয়া, কিতাব আলী, আইয়ূব আলী, কামাল মিয়া, কাশেম, রিপন মিয়া, মনু মিয়া, শাহ আলম, ইসা মিয়া, দুলাল, কাজল মিয়াসহ শতাধিক লোক আহত হন।
এসময় শায়েস্তাগঞ্জ রেল স্টেশনে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস আটকা পড়ে। খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সহায়তায় বিকেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। এসময় পুলিশ ৯ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ও ১০১ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। ওসি ইয়াছিনুল হক জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। ট্রেন চলাচলও শুরু হয়েছে।