গোলাপগঞ্জে প্রতিবন্ধীর বাড়ী দখলের চেষ্টায় মরিয়া এক প্রবাসী : প্রশাসন নির্বিকার

Karimগোলাপগঞ্জ সংবাদদাতাঃ গোলাপগঞ্জ উপজেলার উত্তর গোলাপনগর গ্রামের এক প্রতিন্ধীর বাড়ীর জায়গা দখলে নিতে মরিয়া এক প্রবাসী শিবির নেতা। জানাযায় দীর্ঘদিন থেকে প্রবাসী শিবির নেতা বিভিন্ন ভাবে প্রতিবন্ধকতা, মিথ্যা মামলা, এমনকি প্রাণে মারার হুমকী দিয়ে আসছে, এমন কি করিমের বড়ভাই বেসরকারী প্রতিষ্টানে কর্মরত মোতালেবকেও মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাসাঁনোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তাদের ধারনা মোতালেবকে মামলায় জড়ালে পরিবারটি বাড়ীথেকে পালাতে বাধ্য হবে। সূত্রমতে বাড়ির জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে সিলেট দেওয়ানী আদালতে বাটুয়ারানামা মামলা চলছে, কিন্তু প্রবাসী চাচ্ছেন মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পূর্বেই বলপ্রয়োগ করে আপস মিমাংসায় বাধ্য করে হলেও প্রতিবন্ধী আব্দুল করিমের বাড়ির জায়গাটি দখল করা।

সরজমিন পরিদর্শনে দেখাযায় করিমের বসত ঘরের কারনে রাস্তা থেকে প্রবাসীর বাড়ী দেখা যায়না, সরু রাস্তায় চলাচলে কষ্ট হয়। এদিকে নাছোড়বান্ধা অসচ্ছল প্রতিবন্ধী করিম কোন অবস্থাতেই বাপ-দাদার ভিটা ছাড়তে নারাজ। প্রয়োজনে তিনি মরতে রাজী। তিনি গত ৩০ মার্চ ২০১৫ ইং তারিখে দুপুর আনুমানিক ১২ ঘটিকার সময় সরকারি বদর আমিন আবুল কালম-কে দিয়ে বিরোধপূর্ন বাড়িটি মাপার চেষ্ঠা করলে প্রভাবশালী শিবির নেতা হাফিজুর রহমান এর ইন্দনে উত্তর গোলাপনগর গ্রামের আবুল হোসেন এর পুত্র সুহেল (২৯), সাদিক মিয়া (২৭), মৃত ময়না মিয়া পুত্র আব্দুল হান্নান (৪৮) এবং আব্দুল মালিক এর পুত্র আনোয়ার (২৭) প্রতিবন্ধী করিম, তার স্ত্রী ও বৃদ্ধ মায়ের উপর হামলা চালিয়ে তাদের আহত করে। পরবর্তীতে ঐদিন দুপুর ২টায় আব্দুল করিম বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় গোলাপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মৃদুলকে তিনি তদন্তে গিয়ে মামলা রেকর্ডের জন্য বড় অংকের টাকা দাবী করেন বলে জানান প্রতিবন্ধী করিম। কথামত করিম ধার করে ৫ হাজার টাকা দিলেও মামলা রেকর্ড হয়নি, বরং তদন্তের পর অভিযোগটি গত ৩রা এপ্রিল সাধারণ ডায়রী হিসাবে লিপিবদ্ধ করা হয় যাহার নং-১০৯। এখানেই শেষ নয় সাধারণ ডায়রীর পর তদন্তের জন্য গত ৫ এপ্রিল তদন্তের অনুমতির জন্য সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতে প্রেরন করলে বিজ্ঞ আদালত তদন্তের অনুমতি প্রদান করলেও আজ পর্যন্ত মামলা লিপিবদ্ধ করেনি গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ।
ভূমিখেকো প্রবাসী শিবির নেতা উত্তর গোলাপনগর গ্রামের মৃত সুরুজ মিয়ার পুত্র হাফিজুর রহমান (৩৮), সাইফুল(২০), মৃত ময়না মিয়ার পুত্র আব্দুল মালিক (৫০),আবুল হোসেনের পুত্র সুহেল (৩০) গংদের অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে গত ৫মে ২০১৫ইং গোলাপগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট আরও একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগটিও সাধারণ ডায়রী হিসাবে রেকর্ড করা হয় যাহার নং-২৪৮। বাদী বলেন বিবাদীদের কাছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র থাকায় তারা কাউকে পরোয়া করেনা।
এব্যপারে তদন্ত কর্মকর্তা মৃদুল এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন নন এফআইআর মামলা হবে দুয়েক দিন দেরী হবে। বাদীর অভিযোগ প্রভাবশালী শিবির নেতার সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে তদন্ত কর্মকর্তা মৃদুলের, তাই ওদের কাছ থেকে বড় অংকের উৎকোচের সুবিধা নেওয়ার কারনে মামলাটি রেকর্ড হচ্ছে না। প্রবাসী শিবির নেতার হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে প্রতিবন্ধী করিম ও তার ভাই মোতালেবসহ গোটা পরিবারটি।