সুতারকান্দি স্থল বন্দরে নৌ-পরিবহণ মন্ত্রী

shahjahan khanসুরমা টাইমস ডেস্কঃ শ্রমিক-কর্মচারী, পেশাজীবী ও মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের নামে একটি ব্যানারে ঢাকা-সিলেট অভিমুখে গত বৃহস্পতিবার সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন নৌ-পরিবহণ মন্ত্রী শাহ্ জাহান খান। সিলেট পৌছলে তিনি বিয়ানীবাজারের সুতারকান্দি শুল্ক স্থল বন্দরের বিভিন্ন সমস্যার কথা জানতে পারেন। এ সময় তিনি আরো জানতে পারেন এ শুল্ক স্থল বন্দর থেকে সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব পাচ্ছে। কিন্তু এলাকার স্থল বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন এখনো হয়নি। আকস্মিক ভাবে তিনি বিয়ানীবাজারের স্থল বন্দর পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নেন। পরিদর্শনে তিনি দেখতে পান, ভাঙ্গাচোরা ভবণে কাস্টমস বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের কাজ সমাধা করছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এরপর তিনি কাস্টমস অফিসের সাথে জড়িত বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের খোঁজখবর নেন। এবং শুল্ক বন্দরের বিভিন্ন অফিস কক্ষ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশ্রামাগার পরিদর্শন করেন । এ সময় তিনি আরো বলেন, একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে শুল্ক স্থল বন্দর। আগামী ৬ মাসের মধ্যে শেওলা সুতারকান্দি শুল্ক স্থল বন্দর স্টেশনকে পুর্নাঙ্গ স্টেশন করা হবে। পাশাপাশি আগামী দেড় বছরের মধ্যে এখানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হবে।
শুক্রবার সকালে বিয়ানীবাজারের সুতারকান্দি শুল্ক স্থল বন্দর মালিক কর্তৃক আয়োজিত এক গণসংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেছেন, গণতন্ত্র রক্ষায় আ’লীগ সরকার বদ্ধ পরিকর। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করতে বিএনপি জ্বালাও পোড়াও আন্দোলনে লিপ্ত হয়েছে। গণতন্ত্রের পথে না এলে খালেদা জিয়াকে শ্রমিক জনতা প্রতিহত করবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা, বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান, বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, বিয়ানীবাজার উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা বশিরুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রীর একান্ত সহকারী দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল, দুবাগ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম, উপজেলা আ’লীগের সহ সভাপতি নাজিম উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
মন্ত্রী বিএনপি নেত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, জ্বালাও-পোড়াও করে মানুষ মেরে কখনোই দেশের সেবা করা যায় না। দেশের সেবা করতে হলে জনগণের পক্ষে কথা বলতে হবে। তবেই তো দেশনেত্রী হওয়া যায়। তিনি আরও বলেন, যারা এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড করছে তাদের একদিন অবশ্যই আইনের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে। এদেশের গরীব, মেহনতি, ড্রাইভার, হেলপার পুড়িয়ে মারার বিচার এই সরকারের আমলেও হবে। বর্তমান সরকার যেভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে করছে সেই একইভাবে ট্রাইব্যুনাল গঠন করে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী এসব নরপশুদের বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। বর্তমান সরকার ক্ষমতাগ্রহণ করায় দেশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, দারিদ্র্যতা, মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে দেশের আপামর জনতা শেখ হাসিনার পদক্ষেপকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে।
অনুষ্টানে কয়লা আমদানি কারক গ্র“পের নেতারা শেওলা সুতারকান্দি সুল্ক স্টেশনকে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রমাণ করতে বিভিন্ন তথ্য মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন।