জগন্নাথপুরে ৪ বছর ধরে খাদ্য কর্মকর্তার পদ শূন্য
উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়ম সহ ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগ
ধান চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু না হওয়ায় কৃষকরা হতাশা
জগন্নাথপুর প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা খাদ্য গুদাম গুলোতে সরকারী ভাবে ধান চাল সংগ্রহ অভিযান এখনও শুরু না করায় কৃষকদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। এক ফসলি বোর জমির উপর নির্ভরশীল অনেক বর্গাচাষী কৃষকরা কম মূল্যে ধান বেপারী ও স্থানীয় মিল মালিকদের কাছে বিক্রি করছেন। ৫’শ থেকে সাড়ে ৫’শ টাকা দরে ধান বেপারী ও মিল মালিকরা ধান ক্রয় করছেন বলে অনেক কৃষক জানিয়েছেন। এতে কৃষকরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।এদিকে উপজেলার খাদ্য অফিসে চলছে তুঘলকি কারবার। ২০১২ইং থেকে উপজেলা ফুড অফিসারের পদ শূন্য রয়েছে। উপ-পরিদর্শক শামসুল হক আড়াই বছর ধরে উপজেলা ফুড অফিসে কর্মরত থাকলেও তিনি বসবাস করেন সিলেট শহরে। তার বিরুদ্ধে ব্যাপক দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। জেলার বিভিন্ন ফুড অফিসে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে নিয়োগ, বদলী বাণিজ্যের তদবীর ও উৎকোচ বাণিজ্য এমনকি বাড়তি কমিশন পেয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে জেলা শহর সুনামগঞ্জে গড়ে তোলেছেন একাধিক বাড়ি। বসবাস করেন বিভাগীয় শহরে বিলাস বহুল ভাড়াটিয়া বাসায়। অভিযোগ রয়েছে তিনি অফিস ফাঁকি দিয়ে সিলেটে অবস্থান করে মাস শেষে জগন্নাথপুর এসে বেতন উত্তোলন করে সিলেট আবার সিলেটে আয়েশী জীবন কাটাতে চলে যান। এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য উপপরিদর্শক শামসুল হকের ওরফে আলতুর সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, উপজেলা ফুড অফিসে তেমন কোন কাজ-কাম নেই। মাসে ৩/৪ দিন আসলেই কাজ কাম হয়ে যায়। তিনি আরো বলেন ,উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার পদ শূন্য থাকায় সুনামগঞ্জ সদরের খাদ্য কর্মকর্তা জগন্নাথপুর খাদ্য অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন সুতরাং উনার নির্দেশনা না থাকায় ছাড়া ধান চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু করা যাচ্ছেনা।
উল্লেখ্য, সরকার জগন্নাথপুর উপজেলা ফুড অফিসের অধীনে ১৫শ মেট্রিক টন ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন ৩টি খাদ্য গুদামে প্রতি বছর ১৫”শ মেট্রিক টন বোর ধান সংগ্রহ করে থাকেন। কিন্তু এখনো সংগ্রহ হয়নি এক ছটাক ধান।