সকল মামলায় জামিনের পরও মুক্তি পাননি এডভোকেট জুবায়ের : মহানগর জামায়াতের নিন্দা ও প্রতিবাদ

Advocate Jubayerরাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমুলক সকল মামলায় জামিন পেলেও কারাগার থেকে মুক্তি পাননি সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে একটি পুরাতন মামলায় সন্দেহ ভাজনআসামী হিসেবে দেখিয়ে তাঁকে পুনরায় গ্রেফতার দেখানো হয়। বৃহত্তর সিলেটের পরিচ্ছন্ন রাজনীতির অহংকার জেলা বারের সর্বজন শ্রদ্ধেয় সিনিয়র আইনজীবি জননেতা জুবায়েরকে সকল মামলায় জামিন পেলেও মুক্তি না দিয়ে পুনরায় গ্রেফতার দেখনোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিলেট মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিলেট মহানগর ভারপ্রাপ্ত আমীর মো: ফখরুল ইসলাম ও নায়েবে আমীর হাফিজ আব্দুল হাই হারুন সহ নেতৃবৃন্দ- অবৈধ সরকারের এই ধরনের বেআইনী ও মানবাধিকার পরিপন্থি কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে জননেতা এডভোকেট জুবায়েরসহ সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এই বছরের ১৩ ই জানুয়ারী পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সিলেট আদালত প্রাঙ্গন থেকে ৪র্থ বারের মত গ্রেফতার করা হয় জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর আমীর এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়েরকে। সিলেট আদালতের দীর্ঘদিনের রেওয়াজ ভেঙ্গে একজন সিনিয়র আইনজীবিকে আদালত থেকে এইভাবে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সিলেট জেলা বারের আইনজীবিগণ। তাৎক্ষনিকভাবে সিলেট জেলা আইনজীবি সমিতির পক্ষ থেকে এই গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবী করা হয়। কিন্তু আইনজীবিদের দাবীর প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে জননেতা জুবায়েরকে পরপর ৬টি ষড়যন্ত্রমুলক মামলার সন্দিগ্ধ আসামী হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়, যে মামলাগুলোর এজাহারে ইতোপুর্বে তাঁর নাম ছিলনা। এরপর পর্যায়ক্রমে তিনি সকল মামলায় আদালত থেকে জামিন লাভ করেন। সর্বশেষ গতকাল বুধবার তিনি কোতয়ালী থানা জিআর নং-২৮৮/১৪ মামলায় আদালত থেকে জামিন লাভ করেন। জামিনের কপি কারাগারে পৌছার পর বুধবার সন্ধ্যায় তাঁকে মুক্তি দিতে কারাফটকে নিয়ে আসা হলেও কোন অদৃশ্য শক্তির নির্দেশে সেখান থেকেই আবার ফিরিয়ে নেয়া হয়। পরবর্তীতে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় তাঁকে মুক্তি দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে কারাফটকে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু সেই সময়ে তাঁকে মুক্তি না দিয়ে বিমানন্দর থানা জিআর নং-১১/১৫ মামলায় সন্দিগ্ধ আসামী দেখিয়ে তাকে পুনরায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে, এই মামলায় ইতোপুর্বে। একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় সিনিয়র আইনজীবির প্রতি এই ধরনের অমানবিক আচরন সিলেটের দীর্ঘদিনের সহনশীল রাজনীতির ইতিহাসে কলংকের কালেমা লেপন করা হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনের প্রিয়মুখ এডভোকেট জুবায়ের-এর আওয়ামী সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার হয়ে বারবার কারাবরন সিলেটবাসীকে বিস্মিত করেছে। তিনি কারাগারে থাকাকালেই তাঁর বড় ভাই ইন্তেকাল করেন কিন্তু ভাইয়ের জানাজায় অংশ নিতে তাঁকে প্যারোলে মুক্তি দেয়া হয়নি। জননেতা জুবায়ের-এর মা দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ এরপর আগামীকাল শুক্রবার তাঁর মরহুম বড়ভাইয়ের কুলখানি। সকল মামলায় জামিন পেয়ে প্রিয় শ্রদ্ধাভাজন বড় ভাইয়ের কুলখানিতে অংশ নেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু আওয়ামী সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতি জননেতা জুবায়েরকে বারবার মানসিকভাবে দুর্বল করে দিচ্ছে। নতুন কোন ষড়যন্ত্র কিংবা টালবাহানা না করে অবিলম্বে জননেতা এডভোকেট জুবায়ের সহ ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিন। অন্যথায় জনতার ধৈর্য্যরে বাধঁ ভেঙ্গে গেলে সর্বস্থরের সিলেটবাসীকে সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলনের জননেতা এডভোকেট জুবায়েরকে মুক্ত করা হবে ইনশাআল্লাহ। বিজ্ঞপ্তি