শামছুদ্দিন হত্যাকান্ড : আসামিদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর

Shamsuddin houseসুরমা টাইমস ডেস্কঃ হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে শামছুদ্দিন হত্যাকান্ডের ঘটনায় আসামিদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও মালপত্র লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত টানা ৩দিন ধরে মানব শূণ্য ঘরবাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করছে দুবৃর্ত্তরা। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, হেমার-হাতুরি দিয়ে ঘরের পাকা ওয়াল ভেঙ্গে দেয়াসহ লুটে নেয় ঘরের আসবাবপত্র। পরিস্থিতির অবনতির জন্য সরাসরি পুলিশের ভূমিকাকে দায়ী করেছেন অনেকে। অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসনের নীরবতায়-ই দফায় দফায় পাকাঘর ভাঙচুর করেছে দুবৃর্ত্তরা।
গত ১৮ এপ্রিল উপজেলা সদরের এড়ালিয়াপাড়ায় বাড়ির সীমানা বিরোধের জেরে মোহাম্মদ শামছুদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকেরা। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রাহেনা আক্তার বাদী হয়ে ১৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
বুধবার বিকেলে সরজমিনে গেলে বাড়িঘর ভাঙার করুণ চিত্র দেখা গেছে। একদিকে হত্যাকান্ড। অন্যদিকে ঘরবাড়ি ভাঙচুর ঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে। স্থানীয় সাংবাদিকরা সরেজমিনে গেলে বেশ ক’জন শিশু ও মহিলা জড়ো হন। কিন্তু ভয় ও আতংকে কেউ মুখ খুলেননি।
এ সময় দেখা গেছে, হত্যা মামলার প্রধান আসামি লেচু খানের দুটি ও গেদু মিয়ার একটি পাকাঘরের চারদিকের ওয়াল ভাঙা। দরজা-জানালা নেই। দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে রয়েছে ঘরের গ্রিল। আসামি বদি মিয়ার টিনসেড ঘরটি গুড়িয়ে দিয়েছে দুবৃর্ত্তরা। পাকা ৩টি ঘরসহ ৪টি ঘর ভাঙচুরে ২০ লাখ টাকার ক্ষতি বলে স্থানীয়দের ধারণা।
প্রতিবেশী ইউনুছ মিয়ার স্ত্রী সামিরুন জানান, আসামি পক্ষের লোকজন কেউ বাড়িতে থাকেন না। শামছুদ্দিন খুন হওয়ার পরই লোকজন ঘরে তালা ঝুঁলিয়ে পালিয়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্থ আতœীয়-স্বজনদের অভিযোগ, নিহত শামছুদ্দিনের স্বজনরা দিনে প্রকাশ্যে হেমার-হাতুরি দিয়ে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেছে। ঘরের দরজা-জানালা, ও ফ্রিজ, টেলিভিশন, কম্পিউটার, ধান-চাল, দলিলপত্রসহ আসবাবপত্র লুটে নেয় বাদী পক্ষের লোকেরা। থানা পুলিশকে জানালেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
মামলার বাদী রাহেনার সঙ্গে সাংবাদিকরা কথা বলতে চাইলে তার স্বজনরা আপত্তি জানান। এ সময় তাদের বাড়িতে পুরুষ লোক ছিলেন না। নিহত শামছুদ্দিনের চাচী রুহেনা বেগম লুটপাট ও ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বাদী পক্ষের লোকেরা নয়, এলাকার জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে আসামি পক্ষের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেছে।
থানার ওসি নির্মলেন্দু চক্রবর্তী জানান, বাড়ি ঘর রক্ষায় দিনের বেলা পুলিশ টহল দিয়েছে। রাতে টহল দেয়া সম্ভব হয়নি। রাতের কোনো এক সময় ঘরদরজা ভাঙচুর করেছে দুবৃর্ত্তরা। এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি।