উইমেন্সে সাংবাদিকপুত্রের অঙ্গহানি : ২১ মে’র মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ

Shafiসুরমা টাইমস ডেস্কঃ সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসায় অবহেলায় সাংবাদিকপুত্রের অঙ্গহানির (আঙ্গুল কর্তন) ঘটনা তদন্তে আদালতের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটির আবেদনের প্রেক্ষিতে আরো এক মাস সময় দিয়েছেন আদালত। বুধবার সকালে সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক সাহেদুল করিম আগামী ২১ মে’র মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, গত ১৮ জানুয়ারি টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ সভাপতি ও বাংলাভিশনের সিলেট অফিসে ক্যামেরাপার্সন বদরুর রহমান বাবরের ৮ বছরের শিশুপুত্র সাফি দরজার হোজবেল্টে আঘাত পায়। দ্রুত চিকিৎসার জন্য বাসার পার্শ্ববর্তী সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসায় অবহেলার কারণে আঙ্গুলে ‘গ্যাংগ্রিন’ হয়। পরবর্তীতে ঢাকা ও সিলেটের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সাফির ডানহাতের তর্জনী কেটে ফেলা হয়।
এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫ ডাক্তারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। আদালত বিশেষজ্ঞ তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে বিশেষজ্ঞ তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে গত ৯ মার্চ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. নুরুল আলমকে সভাপতি করে ৩ সদস্যের বিশেষজ্ঞ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বুধবার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের কথা ছিলো।
এর আগে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের পক্ষে উপ পরিচালক ডা. মো. আবদুছ সালাম স্মারক নং-সিওমেকহা/মেঃ বোর্ড/২০১৫/১৩৩৭ স্মারকে গত রোববার সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে তদন্ত কমিটির বরাত দিয়ে ১ মাস সময় প্রার্থনার চিঠি প্রেরণ করেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আদালতের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য একমাস সময় চেয়ে হাসপাতালের পরিচালক বরাবরে আবেদন করেছেন। তদন্ত কমিটির সভাপতি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. নুরুল আলম ১৫ এপ্রিল এক চিঠি দিয়ে সময় প্রার্থনা করেছেন। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, আদালতের নির্দেশে গত ৯ মার্চ গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা দেশের বিভিন্ন চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গ্রাজুয়েশন ও পোস্ট গ্রাজুয়েশন পরীক্ষায় পরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি কমিটির এক সদস্য অর্থোপেডিক্স সার্জারী বিষয়ক কনফারেন্সে অংশগ্রহণের জন্য ভারত অবস্থান করায় প্রতিবেদন জমা দিতে দেরি হচ্ছে। এছাড়া বিষয়াট সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ভাসকুলার সার্জন (শিরা-উপশিরা বিষয়ক) ও ফরেনসিক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ মতামতের প্রয়োজন থাকায় সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছেন।